প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সায়মা ওয়াজেদের অনির্দিষ্টকালের ছুটিকে আমরা জবাবদিহিতার পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানোর প্রেক্ষিতে  শফিকুল আলম শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চলাকালে শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যেখানে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে, তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে এবং এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বের সততা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের এই উদ্যোগে আনন্দিত।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৩ কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভারতের তিনটি কাশির সিরাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। শিশুদের জন্য তৈরি এই ওষুধগুলোতে বিপজ্জনক মাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থাকার খবর পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আরো পড়ুন:

তামান্নাকে নিয়ে আন্নু কাপুরের ‘অশ্লীল’ মন্তব্য

ভারতীয় ভ্যাকসিন-বীজ বিক্রি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) ডব্লিউএইচও যে তিনটি কাশির সিরাপের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা জারি করেছে সেগুলো হলো- ভারতের শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ‘কোল্ডরিফ’, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ‘রেসপিফরেশ টিআর’ এবং শেপ ফার্মার তৈরি ‘রিলাইফ’।

এই সিরাপগুলোতে ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামের একটি রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি। শিশুদের ওষুধ তৈরিতে এই উপাদানটি একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য হলেও মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মারাত্মক বিষে পরিণত হয়।

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশে শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘কোল্ডরিফ’ সিরাপ খেয়ে ১৭ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এরপরপরই এটি সহ আরো কয়েকটি কোম্পানির কাশির সিরাপের ব্যবহার বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পাশাপাশি উৎপাদনও বন্ধ করা হয়েছে। 

ভারতের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তাটি গ্রহণ করেছে এবং ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সিডিএসসিও আরো জানিয়েছে, বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত এই ওষুধগুলো ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়নি এবং অবৈধ রপ্তানির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিষাক্ত এই কাশির সিরাপগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের ৩টি কফ সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা
  • ভারতের ৩ কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা