চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
Published: 29th, July 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশি তিন যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিষয়টি জানতে পেরে পতাকা বৈঠক করে বাংলাদেশি ওই যুবককে ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে পালিয়ে যাওয়া দুজনসহ আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি।
মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি জানিয়েছেন। আটক যুবকের নাম মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীনে জেলার চৌদ্দগ্রাম বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে রাধানগর এলাকা দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাঁদের আটকের চেষ্টা করলে দুজন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। তবে মো. নাদের মুন্সিকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এসের কাছে আনুমানিক ৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বৈদ্দ্যেরখীল এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, পলাতক দুই আসামিসহ আটক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক যুবককে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ