ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি
Published: 1st, August 2025 GMT
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, সেই লিওনেল মেসি এবার পা রাখতে চলেছেন ক্রিকেটের স্বর্গরাজ্য ভারতে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এক বিশেষ আয়োজনে অংশ নেবেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে মেসির অংশগ্রহণ চূড়ান্ত। আয়োজকরা ইতোমধ্যেই মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) অনুমতি পেয়েছে এবং ইঙ্গিত মিলেছে টিকিট কেটে দর্শকরাও সরাসরি অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ এবং ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন বলছে, শুধু উপস্থিতিই নয়, মেসি নাকি অংশ নিতে পারেন এক প্রদর্শনীমূলক ক্রিকেট ম্যাচেও! যেখানে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা শচীন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তিদেরও। ফুটবলের রাজপুত্রকে ব্যাট হাতে দেখা যাবে এই কল্পনাই যেন কোটি ভক্তের চোখে স্বপ্ন হয়ে ধরা দিচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস
মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়সূচি ঘোষণা
মুম্বাই ছাড়াও মেসির ভারত সফরসূচিতে রয়েছে কলকাতা ও দিল্লি। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তিন শহরে হবে তার নানামুখী কর্মসূচি। বিশেষ করে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মেসিকে ঘিরে হবে এক রাজকীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শুধু অনুষ্ঠান নয়, কলকাতায় শিশুদের জন্য একটি ফুটবল কর্মশালাও পরিচালনা করবেন মেসি। ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার দায়বোধ থেকেই চালু করবেন একটি ‘ফুটবল ক্লিনিক’।
তবে এই সফরই প্রথম নয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার ভারত সফরে আসেন মেসি। সেবার কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে নেতৃত্বে ছিলেন মেসি নিজেই।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক হল অন ষ ঠ ফ টবল কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।