১৭ বছর পর সরাসরি ভোটে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে সৈয়দ মতিউর রহমানকে সভাপতি ও মজিদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নতুন নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে রোববার স্থানীয় সোনার বাংলা হাইস্কুল মাঠে দলটির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি ও সম্পাদকসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ৯২৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৮০৪ জন ভোট দেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পরে রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি পদে সৈয়দ মতিউর রহমান ৪৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বৈয়ত উল্লাহ, তিনি পেয়েছেন ৪৫৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মজিদুর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সাহিদ তালুকদার, পেয়েছেন ২৪৫ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অলিউর রহমান, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪০৭।

কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হাসান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মজিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর নেতা-কর্মীরা সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পেরেছেন। এতে তৃণমূলের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এতে সাংগঠনিক গতিও বাড়বে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উন স ল র রহম ন হয় ছ ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ