চট্টগ্রামে জাল সনদ দিয়ে মাদক মামলার আসামি বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হওয়ার ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। আজ সোমবার বিকেলে তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য ও শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব মোরশেদ আলম। কমিটির অন্য সদস্য হলেন বোর্ডের উপবিদ্যালয় পরিদর্শক শফিউল আলম।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর গোমদণ্ডী উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি পদ পাওয়া মোহাম্মদ আলীকে ঘিরে এ অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে প্রথম আলোতে ‘মাদক মামলার আসামি, দিয়েছেন ‘জাল’ সনদ, তবু তিনি স্কুল কমিটির সভাপতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। মাদক মামলার আসামিকে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি নিয়োগ দেওয়ায় সমালোচনা করেন শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মাদক মামলা ও সনদ জালের অভিযোগ উঠেছে। সনদ জালের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সময়সীমা দেওয়া হয়নি, তবে আমরা দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করব।’

গত ২৪ মার্চ চার সদস্যের এই অ্যাডহক কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ছয় মাসের জন্য চার সদস্যের এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাপতি নিয়োগের সময় মোহাম্মদ আলী তাঁর স্নাতকের সনদে উল্লেখ করেছেন, ২০০৩ সালে তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন।

তবে সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই নামে কোনো বিভাগ তাঁদের নেই। যেটি আছে, সেটির নাম ইসলামিক স্টাডিজ। এটি চালু হয়েছে ২০১০ সালে। বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, ‘এই নামে কোনো বিভাগ আমাদের নেই। ২০১০ সালে ইসলামিক স্টাডিজ চালু হয়েছে। সনদটি ফেক (জাল) হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এদিকে আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর বোয়ালখালীতে এক হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। তদন্ত শেষে মোহাম্মদ আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা হয়। এ মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন। বর্তমানে মাদক মামলাটি বিচারাধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে ট্রাক উল্টে ১ জন নিহত, আহত ৩

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি ট্রাক উল্টে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ট্রাকটির চালকসহ তিনজন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বড়াদম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম খোকন চন্দ্র দাস (৫০)। তিনি দীঘিনালা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার সুকুমার দাসের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় থাকা নিজের বাগান থেকে ট্রাকটিতে কাঠ বোঝাই করে দীঘিনালা সদরে নিয়ে যাচ্ছিলেন খোকন চন্দ্র দাস। ট্রাকটিতে তিনি ছাড়াও চালক ও দুজন গাছ কাটার শ্রমিক ছিলেন। উপজেলার বড়াদম এলাকায় এলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকে থাকা চারজনই আহত হন।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আহত চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র দাসকে সেখান থেকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া দুর্ঘটনায় হতাহত হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ