ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে রচিত হলো ভারতীয় ক্রিকেটের এক গৌরবময় অধ্যায়। কেনিংটন ওভালের ঐতিহাসিক টেস্টে মাত্র ছয় রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। এ জয় ভারতের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম ব্যবধানে পাওয়া জয় হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ওভালের এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ এ শেষ হলো। তবে শেষ টেস্টের নাটকীয়তায় রোমাঞ্চের তুঙ্গে পৌঁছায় ক্রিকেটবিশ্ব। নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারতের এই সফর ছিল অনেকদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ছিল টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফির প্রথম আসর।

সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় রানে এগিয়ে থেকেও হেরে যায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৩৬ রানে জয়ের মাধ্যমে সমতা ফেরায় তারা। লর্ডসে ইংল্যান্ড ২২ রানে জিতে আবার লিড নেয়। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটারদের দৃঢ়তায় চতুর্থ ম্যাচ ড্র হয়। ফলে পঞ্চম ওভাল টেস্ট হয়ে দাঁড়ায় সিরিজ নির্ধারক ম্যাচ। যেখানে শেষ হাসি হাসে ভারতই।

আরো পড়ুন:

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে সেঞ্চুরির বৃষ্টিতে ভাঙল ৭০ বছরের রেকর্ড

ওভালে ঐতিহাসিক জয়, ম্যাচ জেতানো আত্মবিশ্বাসের গল্প শোনালেন সিরাজ

এই জয়ে ভারত ২৮ পয়েন্ট ও ৪৬.

৬৭ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে উঠে আসে তিন নম্বরে। অপরদিকে, ইংল্যান্ড স্লো ওভার রেটের কারণে দুই পয়েন্ট হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে। তাদের বর্তমান পয়েন্ট ২৬ এবং শতাংশ পয়েন্ট ৪৩.৩৩। যার ফলে তারা এখন চারে।

ডব্লিউটিসি তালিকার শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া, যারা সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১০০ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, যারা বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে। বাংলাদেশ আছে পাঁচে এবং তিন টেস্টে হার দেখে ছয়ে নেমে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান এখনো তাদের ২০২৫–২৭ চক্রের অভিযান শুরু করেনি। 

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় ভাববেন

নতুন চাকরির প্রস্তাব হাতে পেয়ে উত্তেজনা স্বাভাবিক। ফোনে ‘জব অফার’ নোটিফিকেশন দেখলেই মন উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। কিন্তু ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, আবেগে ভেসে সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তী সময় হতাশা, কাজে অসন্তুষ্টি বা ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ১০টি বিষয় খুঁটিয়ে ভাবা জরুরি।

১. বেতন

প্রথম যে বিষয়টি আসে, তা হলো বেতন। মাসিক, সাপ্তাহিক বা ঘণ্টাভিত্তিক হিসাব, বেতনের ক্ষেত্রে সবকিছুই বিবেচনা করা প্রয়োজন। বেতন কি আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে, কর কাটার পর হাতে কত টাকা পাবেন এবং স্থানীয় জীবনযাত্রার খরচ মেটানো যাবে কি—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখুন। শুধু মূল বেতন নয়, বোনাস, কমিশন এবং পারফরম্যান্স ইনসেনটিভও মূল্যায়ন করুন।

২. সুযোগ-সুবিধা

বেতন গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যেমন স্বাস্থ্যবিমা, পেনশন, ছুটি, শিশু যত্ন সহায়তা বা প্রতিষ্ঠানে খাবারের সুবিধা—সবকিছুই বিবেচনা করতে হবে। কখনো কখনো এই সুবিধাগুলো মূল বেতনের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।

৩. যাতায়াত ও অবস্থান

দৈনিক যাতায়াতের সময় কত লাগবে, তা হিসাব করা জরুরি। দীর্ঘ যাতায়াত শুধু ক্লান্তি নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, পরিবারের সঙ্গে কম সময়—এসব সমস্যা এড়াতে অফিসের অবস্থান ও যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করুন।

৪. কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য

নতুন চাকরি মানেই নতুন রুটিন। আপনার ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ভারসাম্য কেমন হবে, সেটি মূল্যায়ন করুন। ফ্লেক্সিবল সময়, রিমোট বা হাইব্রিড কাজের সুযোগ, স্বায়ত্তশাসন—এসব বিষয় আপনার সন্তুষ্টি নির্ধারণ করবে।

নতুন পদের দায়িত্বগুলো কেমন, তা বোঝা খুব জরুরি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ