মানুষ প্রতিদিন ৬৮ হাজার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা শ্বাসের মাধ্যমে নিচ্ছে
Published: 28th, August 2025 GMT
মানুষ তাদের বাড়িতে বা গাড়িতে প্রতিবার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় সম্ভবত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এই কণা ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। প্লস ওয়ান নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে যে মানুষ প্রতিদিন ৬৮ হাজার পর্যন্ত ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা শ্বাসের মাধ্যমে নিতে পারে।
এর আগের গবেষণাগুলোতে বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের বৃহৎ টুকরো চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য তেমন হুমকিস্বরূপ নয় বলা হয়েছিল। কারণ এগুলো বাতাসে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকে না বা ফুসফুসতন্ত্রের গভীরে চলে যায় না।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকরা জানিয়েছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণাগুলো ১ থেকে ১০ মাইক্রোমিটারের মধ্যে অথবা মানুষের চুলের পুরুত্বের প্রায় এক-সপ্তমাংশ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরো হুমকিস্বরূপ। কারণ এগুলো সহজেই সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।
ফ্রান্সের তুলুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোপ্লাস্টিক গবেষক এবং গবেষণার সহ-লেখক নাদিয়া ইয়াকোভেনকো বলেন, “আমরা যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মাত্রা পেয়েছি তাতে আমরা বেশ অবাক হয়েছি - এটি পূর্বের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কণার আকার ছোট এবং টিস্যুতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য সুপরিচিত, যা বিপজ্জনক। কারণ এটি রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রের গভীরে যেতে পারে।”
মাইক্রোপ্লাস্টিক হলো প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র টুকরো যা ইচ্ছাকৃতভাবে ভোগ্যপণ্যে যোগ করা হয়, অথবা বৃহত্তর প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য যা ভেঙে যায়। কণাগুলোতে ১৬ হাজার প্লাস্টিক রাসায়নিক রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
নতুন গবেষণায় দেখানো হয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহের প্লাসেন্টাল এবং মস্তিষ্কের বাধা অতিক্রম করতে পারে। এই কণা দেহে প্রবেশের জন্য খাদ্য এবং পানিকে প্রধান এক্সপোজার রুট বলে মনে করা হয়েছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের প্রদাহের সাথে যুক্ত, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ট্রাক উল্টে ১ জন নিহত, আহত ৩
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি ট্রাক উল্টে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ট্রাকটির চালকসহ তিনজন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বড়াদম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম খোকন চন্দ্র দাস (৫০)। তিনি দীঘিনালা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার সুকুমার দাসের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় থাকা নিজের বাগান থেকে ট্রাকটিতে কাঠ বোঝাই করে দীঘিনালা সদরে নিয়ে যাচ্ছিলেন খোকন চন্দ্র দাস। ট্রাকটিতে তিনি ছাড়াও চালক ও দুজন গাছ কাটার শ্রমিক ছিলেন। উপজেলার বড়াদম এলাকায় এলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকে থাকা চারজনই আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আহত চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র দাসকে সেখান থেকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া দুর্ঘটনায় হতাহত হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।