ঢাকার মালিবাগে সিগারেট খেতে বারণ করায় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ পরিবহনের মালিক আলী হাসান পলাশ তালুকদার ও তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুদ মামুন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দুই যুবক সিগারেট খাচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের সেখান থেকে সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এই ঘটনার জেরে ওই দুই যুবক আরো প্রায় ৬০-৭০ জনকে ডেকে আনেন এবং সংঘবদ্ধ হয়ে কাউন্টারে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। কাউন্টারের স্টাফদের মারধর করে। 

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা আলী হাসান পলাশ তালুকদারের বাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

রমনা মডেল থানার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

নাহিদ জানান, ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ধূমপান নিয়ে বিতর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। 

সোহাগ পরিবহনের পরিচালক ফজলে রুবায়েত পাপ্পু স্বেচ্ছাসেবক দলের রমনা থানার সভাপতির নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স হ গ পর বহন র ক উন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ