কিশোর কুমারের সঙ্গে বিয়ের সময় তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা
Published: 18th, September 2025 GMT
সত্তর-আশির দশকের বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত এক অভিনেত্রী। মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারেই অভিনয় করেছিলেন একের পর এক হিট ছবিতে। কিন্তু সাফল্যের আড়ালেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল দুঃখে ভরা। বলিউডের সেই তারকার নাম লীনা চন্দ্রাভারকর।
জন্ম ও ক্যারিয়ার শুরু
১৯৫০ সালের ২৯ আগস্ট কর্ণাটকের ধারওয়াড়ে জন্ম লীনার। কোঙ্কণি মারাঠি পরিবারে বেড়ে ওঠা এই অভিনেত্রীর বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই স্কুল নাটকে অভিনয় করতে করতে সিনেমার প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। লীনার বাবার প্রথমে ইচ্ছাই ছিল না যে মেয়ে সিনেমায় নাম লেখাক। ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট কনটেস্টে অংশ নিতে চাইলে বাবা রীতিমতো বাধা দেন। প্রতিবাদে বই ফেলে রেখে পরীক্ষা না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন লীনা। শেষ পর্যন্ত বাবাই মেনে নেন।
সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন রাজেশ খান্না ও ফরিদা জালাল, আর মাত্র ১৫ বছরের লীনা ছিলেন রানারআপ। তবে চলচ্চিত্রজগৎ তাঁকে ডাকতে শুরু করে ‘বেবি’ নামে। কয়েকটি বিজ্ঞাপন করার পর সুনীল দত্ত তাঁকে নেন ‘মন কা মীত’ (১৯৬৮) ছবিতে, বিপরীতে বিনোদ খান্না। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন সুনীল দত্ত প্রযোজিত ছবির মাধ্যমে, বিপরীতে ছিলেন নবাগত বিনোদ খান্না।
এরপর একে একে ‘হামজোলি, ‘হানিমুন’,‘মেহবুব কি মেহেন্দি’, ‘মঞ্চলি’, ‘দিল কা রাজা’, ‘এক মহল হো সাপনো কা’, ‘বিদায়ী’, ‘প্রীতম’, ‘বৈরাগ’, ‘ইয়ারোঁ কা ইয়ার’—এমন বহু জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে জায়গা করে নেন দর্শকের মনে। সেই সময়ের তিন শীর্ষ নায়ক—জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না ও বিনোদ খান্নার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। লীনা ছিলেন মীনা কুমারীর ভক্ত। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাস্তব জীবনে লীনার কাহিনিও যেন হয়ে উঠেছিল মীনা কুমারীর ছবির মতোই দুঃখে ভরা।
লীনা চন্দ্রাভারকর। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ ৭ বছরের উচ্ছ্বাসে ভাটা এনেছে যত্রতত্র প্রচার। সাধারণ নিয়মের পরোয়া না করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জান যায়, লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে প্রচার চালিয়েছেন এক ভিপি পদপ্রার্থী। আরেক ভিপি পদপ্রার্থী আইন বিভাগে ক্লাস চলা অবস্থায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
চাকসু নির্বাচন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে বসে পড়াশোনা করব, অথচ হঠাৎ প্রার্থী ঢুকে প্রচারণা শুরু করবেন—এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি ব্যবহারকারী কিছু শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরিতে পড়ার সময় প্রার্থীসহ ৬-৭ জন এসে প্রচার চালান এবং ডেকে লিফলেট বিতরণ করেন, যা পড়া-শোনার বিঘ্ন ঘটায়। পড়াশোনার জায়গাতেই যদি প্রচার হয়, তাহলে আমরা কোথায় পড়ব?
এ বিষয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান জ্যোতি বলেন, “লাইব্রেরিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ এসেছে কিছু প্রার্থী-সমর্থক সাধারণ শিক্ষার্থীর মত এসে প্রচার চালিয়েছেন। ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়িয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইন বিভাগে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক ভিপি প্রার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. লিমন হোসেন বলেন, যেহেতু এইটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন, সেহেতু সবারই সহযোগিতা দরকার। তাই আমি অনুমতিক্রমে প্রার্থীদেরকে তাদের প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে এই সুযোগ আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য দেইনি, সবার জন্যই দিয়েছি। তবে শুধু প্রার্থীকে ২ মিনিটের সুযোগ দিয়েছি।”
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরির পরিবেশ বজায় রাখা লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী