সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা
Published: 14th, October 2025 GMT
সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা আবশ্যক উল্লেখ করে—এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৯ অক্টোবরের এক স্মারকের সূত্র উল্লেখ করে দেওয়া এ–সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি আদেশ অনুসারে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্দিষ্ট আমলি এলাকার অপরাধগুলো আমলে গ্রহণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠানো মামলাগুলোর বিচার করে থাকেন।
আমলে গ্রহণের পাশাপাশি একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের তদন্ত তদারকি, তদন্তে সহায়তা, জামিন শুনানি, রিমান্ড শুনানি, বিভিন্ন বিশেষায়িত আইনের অধীনে সামারি কোর্ট পরিচালনা, অ্যাফিডেভিট সম্পাদনসহ নানাবিধ কাজ করে থাকেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, আমলি আদালতের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা দৈনিক কর্মঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিচারিক কাজে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না বলে সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মধ্যে কিছু আদালতকে শুধু বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং কিছু আদালতকে শুধু আমলি আদালত হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ
অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আরও ২৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি এ মামলায় পলাতক আসামিদের নামের তালিকা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আজ ২৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় পলাতক আসামিদের পরবর্তী তারিখে আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারকাজে অংশ নিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত। না হলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই এই বিচারকাজ চলবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ১৯৫ জন আসামি।
বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে সিআইডি জানতে পারে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিং করে। সেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকেই অংশ নেন। সিআইডি প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য, ডিজিটাল উপাত্ত ও ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখতে পায়, ওই সভায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ঘোষণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রয়েছে।
এরপর চলতি বছরের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে গত ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।