Prothomalo:
2025-10-15@11:44:17 GMT

সব থেকেও যেন কিছুই নেই

Published: 15th, October 2025 GMT

রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত, দুর্দান্ত অ্যাকশন, টান টান চেজ দৃশ্য—একটি স্পাই সিনেমা থেকে যা যা আপনি চান, এর প্রায় সবই আছে। কিন্তু সব থেকেও ‘ওয়ার ২’ হয়ে রইল একটি আক্ষেপের নাম। যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সের সব গল্পই কমবেশি হলিউডের বিভিন্ন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত। তবু শাহরুখ খান, সালমান খান, হৃতিক রোশন, জন আব্রাহাম, দীপিকা পাড়ুকোনদের মতো বড় তারকার জাদু পর্দায় দেখা উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। ‘ওয়ার’-এর প্রথম কিস্তি যেমন হৃতিক রোশন, টাইগার শ্রফের টক্কর আর বাণী কাপুরের আবেদনময়ী উপস্থিতির কারণে অনেক ভক্ত মনে রেখেছেন। তবে তাঁর সিকুয়েল মানুষ কত দিন মনে রাখবে, বলা কঠিন।

একনজরে
সিনেমা: ‘ওয়ার ২’
ধরন: স্পাই-অ্যাকশন
পরিচালনা: অয়ন মুখার্জি
অভিনয়: হৃতিক রোশন, এনটিআর জুনিয়র, কিয়ারা আদভানি, অনিল কাপুর
দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স

গল্প কী নিয়ে
‘ওয়ার ২’-এর গল্প শুরু হয় যখন কবীর (হৃতিক রোশন) তাঁর প্রাক্তন পরামর্শক কর্নেল লুথরাকে (অশুতোষ রানা) একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী সংস্থা কালীর জন্য হত্যা করতে বাধ্য হয়। এই মুহূর্তে কবীরের মনে পড়ে লুথরার দেশপ্রেমের শিক্ষা ‘ইন্ডিয়া ফাস্ট’, অর্থাৎ দেশের জন্য সব কবুল। কর্নেল লুথরাকে হারিয়ে নড়েচড়ে বসে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী র। নিয়োগ দেওয়া হয় সংস্থার নতুন প্রধান বিক্রান্ত কৌলকে (অনিল কাপুর)। কবীরকে ধরতে আর লুথরার হত্যারহস্য ভেদ করতে তৈরি হয় বিশেষ দল। যে দলের প্রধান আরেক খ্যাপাটে অফিসার বিক্রম (এনটিআর জুনিয়র)। নিজে যেচে গিয়ে দলে যোগ দেন লুথরার মেয়ে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্য কাব্য (কিয়ারা আদভানি)। এরপর শুরু হয় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। বিক্রম কি পারবে কবীরকে বাগে আনতে নাকি হঠাৎই গল্প মোড় নেবে নতুন রহস্য; সেটা নিয়ে এগিয়ে চলে অয়ন মুখার্জির সিনেমাটি।

গল্পের ভেতর-বাহির
ভারত-পাকিস্তানের শত্রুতা, মাতৃভূমি রক্ষার্থে র-এর এজেন্টদের মারকাটারি অ্যাকশন; সবই বলিউড সিনেমায় বহুল ব্যবহৃত প্লট। ‘ওয়ার ২’ সিনেমার গল্পেও দেখা যায় উন্নত দেশগুলোর বৈষয়িক স্বার্থে উন্নয়নশীল দেশের ‘মাথাদের’ মগজধোলাই ও তাদের সঙ্গী করে ভারতকে পর্যুদস্ত করার ষড়যন্ত্র। যুগের সঙ্গে গল্পের প্লটেও আধুনিকতার ছোঁয়া রেখেছেন পরিচালক।

‘ওয়ার ২’ সিনেমা এনটিআর ও হৃতিক রোশন। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সৌরজগতে থাকা রহস্যময় বস্তু নিয়ে কৌতূহল

সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুটির বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই রহস্যময় বস্তু কক্ষপথের নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেডনয়েড নামের বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত বস্তুটি নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।

তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন। বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না। এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটি প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে। অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায় বিজ্ঞানীদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে। তারা নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। অন্য কোনো শক্তি বহু বছর আগে এদের দূরে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হয়।

অ্যামোনাইট আবিষ্কারের ফলে সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত হলো। প্রতিটি বস্তুই সৌরজগতের বাইরের অংশের গঠন ও বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে, সেই ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ইয়িং-টুং চেন বলেন, অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ