বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, “আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি হবে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব বা ষড়যন্ত্র চলতে দেওয়া যাবে না। জুলাই বিপ্লবের সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের আগামী রাজনীতিতে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রত্যাবর্তনের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক ওলামায়ে কেরামের যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে সেই সুযোগ অবধারিতভাবেই ফিরে আসবে। পরাজিত শক্তি এ কারণেই নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারও বলছি—জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র দিনে গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করুন।”

‌তি‌নি বলেন, “বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এদেশে চূড়ান্তভাবে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেশের মানুষের সমর্থনে ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিটি পদক্ষেপ পরিচালিত হয়। যে বা যারাই এই লক্ষ্যের সাথে একমত হবেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তাদের নিয়েই আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক সমঝোতা করবে বলে।”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিকশা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “জনগণের সঙ্গে, জনগণের ভাষায় কাজ করলেই ইসলামী রাজনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ।”

অনুষ্ঠানে আমিরের হাতে সদস্য ফরম জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগদান করেন—নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মুফতী জুনায়েদ বিন মিজান, মুফতী ইকবাল মাহমুদ, মাওলানা তাওহীদ আল-মাআরেফী, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা শাহাদত হোসাইনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরো বহু ওলামায়ে কেরাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী আলাউদ্দিন সাবেরী, মাওলানা ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ষড়যন ত র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের