যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম সাময়িকীর সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ছাপানো হয়েছে। ছবিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এটি ‘সর্বকালের সবচেয়ে বাজে ছবি।’ গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

গাজা যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের সাফল্য নিয়ে টাইমের ১০ নভেম্বরের সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে ছবিটি ছাপানো হয়েছে। ট্রাম্প মোটাদাগে প্রতিবেদনটি পছন্দ করেছেন। কিন্তু ছবিটি তাঁর মনঃপূত হয়নি। কারণ, নিচ থেকে তোলা ছবিটিতে ট্রাম্পের মাথার পেছনে রয়েছে সূর্য। এতে তাঁর চুল নেই বলে মনে হচ্ছে। তা ছাড়া তাঁর চিবুক ও ঘাড়ের অংশ ভালো আসেনি।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘টাইম সাময়িকী আমাকে নিয়ে তুলনামূলকভাবে একটি ভালো প্রতিবেদন করেছে। কিন্তু ছবিটা সর্বকালের সবচেয়ে বাজে হয়েছে। এই ছবি প্রকাশ্যে সমালোচনা করার যোগ্য।’ প্রসঙ্গত, গত বছর টাইম সাময়িকী ট্রাম্পকে নিয়ে চারবার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ওরা আমার চুল “গায়েব” করে দিয়েছে। আমার মাথার ওপরে এমন কিছু একটি ভাসছিল, যা দেখতে একটা ভাসমান মুকুটের মতো লাগছিল, তবে খুবই ছোট। সত্যিই অদ্ভুত! আমি কখনো নিচ থেকে তোলা ছবি পছন্দ করিনি। এটা ভীষণ বাজে একটা ছবি। এই ছবি প্রকাশ্যে সমালোচনা করার যোগ্য। ওরা আসলে কী করছে, কেন?’

ছবিটি ৫ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ব্লুমবার্গের জন্য তুলেছিলেন আলোকচিত্রী গ্রিম স্লোয়ানে। ট্রাম্পের এই ছবি নিয়ে মজা করতে ছাড়েনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম। তাঁর কার্যালয় ট্রাম্পের চিবুকের অংশ ঝাপসা করে দিয়ে ছবিটির একটি নতুন সংস্করণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবিটির সমালোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য। যাঁর ছবি তোলা হয়েছে, সেটার চেয়ে একটি ছবি প্রকাশ করার জন্য কে বাছাই করেছেন, তা আমাদের অনেক বেশি কিছু জানায়। অসুস্থ, ক্ষোভ ও ঘৃণায় মগ্ন মানুষ কেবল এমন ছবি বেছে নিতে পারেন।’

কিন্তু গার্ডিয়ানের ছবি সম্পাদক কার্লি আর্ল বলেন, কৌশলগত দিক থেকে ছবিটি ভালো। নিচ থেকে তোলা ছবি কারও ক্ষমতাশালী ভাব ফুটিয়ে তোলে। ট্রাম্পের ছবিতেও একধরনের বীরত্বপূর্ণ ভাব ধরা পড়েছে। নান্দনিক দিক থেকে ছবিটি সুন্দর। কিন্তু ট্রাম্প তা পছন্দ করেননি।

ছবিটি সম্পর্কে জানতে গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে টাইম সাময়িকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় : শিল্পপতি বাবুল

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেছেন, ‘নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’ তার ভাষায়, রাষ্ট্র ও সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের আমলাপাড়াস্থ নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিনসহ শিক্ষকরা ফুল দিয়ে আবু জাফর বাবুলকে বরণ করেন।

বাবুল তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৪তম দফা ‘নারীর মর্যাদা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ’ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষার অগ্রগতি ছাড়া কোনো সমাজ এগোতে পারে না। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তায় নারীরা সমান সুযোগ না পেলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব।

আলোচনার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। জরাজীর্ণ ভবন ও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখার (ফ্যান) অভাবে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানালে আবু জাফর বাবুল ফ্যান সরবরাহের ব্যবস্থা করেন।

স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘অত্র প্রতিষ্ঠানের যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজে বাবুল ভাই সবসময় পাশে থেকেছেন। শিক্ষকদের বসার চেয়ার-টেবিলের সংকটের কথা জানানোর পরপরই তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন।

তিনি আরো জানান, ‘বাবুলের অর্থায়নে স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে।’

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আবু জাফর আহমেদ বাবুল স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন মানে আমার নিজের ঘরের উন্নয়ন। আমি সবসময় এই শহরের মানুষের পাশে থাকতে চাই।’

তিনি উপস্থিত সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং নারায়ণগঞ্জের নারী শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিকাশে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ