চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রী কল্যাণ ও সহ-ছাত্রী কল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক পদে সব প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন এক ভোটার। একইসঙ্গে বিধি লঙ্ঘন করে ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে মোবাইল নিয়ে ব্যালটপত্রের ছবিও তুলেছেন তিনি।

ওই ভোটার হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুর রশিদ দুর্জয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা আমান

‘রাকসু নির্বাচনে গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে সাইবার ইউনিট’

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ ফেসবুক আইডিতে ওই ব্যালটপত্রের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। ব্যালটপত্রের ছবিটি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই পোস্টে দুর্জয় লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ!! কোনো পুকিকে হতাশ করি নাই! চাকসু ডান।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি নারী-নেতৃত্ব বিশ্বাস করি না। ধরা যায়, আমি একজন কট্টরপন্থী ইসলামিস্ট। তবে নারীদের ছোট করার জন্য যে এটা করেছি, এমনটা নয়। বলা যায়, এটার মাধ্যমে আমি একটু সার্কাজম করেছি।”

গোপন কক্ষে মোবাইল নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মোবাইল নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া দেখভাল থাকলেও মাঝে মধ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমি মনে করি, সেখানে মোবাইল নেওয়াটা স্বাভাবিক। কেননা, ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য মোবাইল প্রয়োজন ছিল। এছাড়া, ব্যাক্তিগত কারণেও মোবাইল সঙ্গে রাখা দরকার ছিল।”

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড.

হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীকে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ করেননি তিনি।

চাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৭ জন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি অনুষদের নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। মোট ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। প্রত্যেকটি কক্ষে ছিল পাঁচটি ব্যালট বাক্স।

নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু: সব নারী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট শিক্ষার্থীর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রী কল্যাণ ও সহ-ছাত্রী কল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক পদে সব প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন এক ভোটার। একইসঙ্গে বিধি লঙ্ঘন করে ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে মোবাইল নিয়ে ব্যালটপত্রের ছবিও তুলেছেন তিনি।

ওই ভোটার হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুর রশিদ দুর্জয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা আমান

‘রাকসু নির্বাচনে গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে সাইবার ইউনিট’

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ ফেসবুক আইডিতে ওই ব্যালটপত্রের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। ব্যালটপত্রের ছবিটি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই পোস্টে দুর্জয় লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ!! কোনো পুকিকে হতাশ করি নাই! চাকসু ডান।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি নারী-নেতৃত্ব বিশ্বাস করি না। ধরা যায়, আমি একজন কট্টরপন্থী ইসলামিস্ট। তবে নারীদের ছোট করার জন্য যে এটা করেছি, এমনটা নয়। বলা যায়, এটার মাধ্যমে আমি একটু সার্কাজম করেছি।”

গোপন কক্ষে মোবাইল নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মোবাইল নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া দেখভাল থাকলেও মাঝে মধ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমি মনে করি, সেখানে মোবাইল নেওয়াটা স্বাভাবিক। কেননা, ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য মোবাইল প্রয়োজন ছিল। এছাড়া, ব্যাক্তিগত কারণেও মোবাইল সঙ্গে রাখা দরকার ছিল।”

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীকে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ করেননি তিনি।

চাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৭ জন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি অনুষদের নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। মোট ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। প্রত্যেকটি কক্ষে ছিল পাঁচটি ব্যালট বাক্স।

নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ