শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন চিফ প্রসিকিউটর
Published: 16th, October 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড চান।
এই মামলায় মোট তিনজন আসামি। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বাইরেও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন রয়েছেন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে 'অ্যাপ্রুভার' (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, তাঁরা মনে করেন সাবেক আইজিপি মামুন ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছেন জবানবন্দিতে। তাঁর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনায় নেবেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো.
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আস দ জ জ ম ন খ ন র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সার না পেলে কৃষকদের ডিসি অফিস ঘেরাওয়ের পরামর্শ মির্জা ফখরুলের
কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সার না পেলে কৃষকদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ডিসি অফিস) ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। সদর উপজেলার দানারহাট ঈদগাহ মাঠে এ সভার আয়োজন করে বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৩১ দফায় বলেছি, আমরা যদি সরকারে যেতে পারি; তবে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্যের ব্যবস্থা করব।’
সারসংকটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন সারের সংকট চলছে। ডিসিক কইবা হবে (বলতে হবে) আপনার তো বাড়ি হচ্ছে কিশোরগঞ্জ। ওত্তি তো (ওদিক) পানি আর পানি। হামার এত্তি (এদিক) তো পানি বেশি নাই। আমাদের কৃষিকাজ করে খেতে হয়। পানি শ্যালো বা ডিপ টিউবওয়েল আর বরেন্দ্র থেকে নিতে হয়। সারটা আমরা ঠিকমতো চাই।’
একই সময়ে উপস্থিত জনগণকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুখ বন্ধ করে থাকলে কেউ কথা শুনবে না। যদি কথা না শুনে, সারের দাবিতে দরকার হলে ডিসি অফিস ঘেরাও করে দেবেন।’
২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন টুয়েন্টি-থার্টি নামে একটি প্রস্তাব জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই প্রস্তাবনায় তিনি বলেছিলেন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট দরকার। সেই পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাঁরাই দেশ চালাবেন। এতে ভারসাম্য থাকবে। ভারসাম্য থাকবে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে। বিচার বিভাগও একদম স্বাধীন থাকবে।
কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর নিয়ে চিৎকার করছে মন্তব্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা বোঝেন পিআরটা কী? এখন চলছে এক ব্যক্তির এক ভোট। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আর পিআর হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দেবে। সর্বনাশ! কাকে ভোট দিচ্ছি, আমি জানব না? দলকে ভোট দিলে তো ওটা কী হবে, তাও ঠিকমতো বলতে পারব না। তবে সেই ব্যবস্থায় আমরা যাব কেন? সবাই যদি একমত হয়, তবে চিন্তা করে দেখবে। সে কারণে আমরা বলছি, আগে নির্বাচনটা হোক। পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হবে। জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে পিআর হবে কি হবে না।’
দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে নির্বাচনটা করি। পরে আমরা সবাই মিলে তর্ক-বিতর্ক করব, তবে মারামারি আর করতে চাই না রে, ভাই।’
এমপিওভুক্ত বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষকেরা নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। আমরা বলছি বিএনপি সরকার গঠন করলে শুধু শিক্ষক নয়, গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হবে।’
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএস আবুল কাসেমসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।