বন্ধুর সহায়তায় ভোট দেন নাঈম, ইমরানকে সহায়তা করেছেন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ব্যক্তি
Published: 16th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দুই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে একজন বন্ধু ও অন্যজন ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির সহযোগিতায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ওই দুই প্রার্থী হলেন ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের স্বতন্ত্র পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সহসম্পাদক পদপ্রার্থী নাঈম হোসেন এবং ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ভোট দেন নাঈম হোসেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আমার পছন্দের প্রার্থীদের নাম বলেছি, আর বন্ধু সে অনুযায়ী ব্যালটে ক্রস চিহ্ন দিয়েছেন। এভাবেই আমার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটিতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।’
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নাঈমের এই পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন বন্ধুরা। প্রচারণার দিনগুলোয় ক্লান্তিহীনভাবে তাঁর সঙ্গে হেঁটেছেন, ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বার্তা।
মো. ইমরান হোসেনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা রয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার
হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
মিল্টন সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের বারেক মল্লিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, মিল্টন দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। কখনো অস্ত্রের মহড়া, কখনো চাঁদাবাজি, কখনো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার নিয়মিত কৌশল। গত ৩১ অক্টোবর যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি তাজা ককটেল এবং দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার হয়। তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে মিল্টন মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। র্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে টঙ্গীবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় র্যাব মিল্টনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমাদের রেকর্ডে তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য রয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ