মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার
Published: 1st, December 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা রয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার
হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
মিল্টন সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের বারেক মল্লিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, মিল্টন দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। কখনো অস্ত্রের মহড়া, কখনো চাঁদাবাজি, কখনো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার নিয়মিত কৌশল। গত ৩১ অক্টোবর যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি তাজা ককটেল এবং দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার হয়। তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে মিল্টন মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। র্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে টঙ্গীবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় র্যাব মিল্টনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমাদের রেকর্ডে তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য রয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বছরে আয়–ব্যয় ও বিনিয়োগ পরিকল্পনার ১০ পরামর্শ
শুরু হলো ডিসেম্বর মাস। আগামী মাসে শুরু হবে আরেকটি বছর। নতুন বছরে আপনি আপনার আর্থিক পরিকল্পনা কীভাবে সাজাবেন, এর চিন্তাভাবনা এখনই শুরু করা উচিত। পুরো ডিসেম্বর হলো আপনার বিনিয়োগ পোর্টফোলিও গোছানোর সুযোগ। পাশাপাশি আপনার আয়–ব্যয়ের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে আপনার লক্ষ্য কী, কোন সম্পদ রাখবেন বা ছাড়বেন—সবকিছুই এখনই ঝালিয়ে নেওয়ার সময়।
২০২৬ সালে বিনিয়োগ ও আয়–ব্যয়ের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা জরুরি, সেগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।
১. আয়–ব্যয়ের বাস্তব চিত্র বানান
নতুন বছরের শুরু থেকে মাসিক নগদ প্রবাহের হিসাব রাখুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ শনাক্ত করে কমিয়ে আনুন। এটি আপনার বাজেটের ঘাটতি ঠেকাবে।
২. জরুরি তহবিল গঠন করুন
সম্ভব হলে তিন থেকে ছয় মাসের ব্যয়ের সমপরিমাণ টাকা সঞ্চয় রাখুন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে এটি সবচেয়ে কার্যকর সুরক্ষা। এতে আপনি একধরনের ভরসা পাবেন।
৩. ঋণের ঝুঁকি কমান
উচ্চ সুদের ঋণ দ্রুত পরিশোধে গুরুত্ব দিন। এতে আপনার ওপর চাপ কমবে। দ্রুত ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য–উপাত্ত অনুসারে, ব্যক্তি খাতে ঋণের চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে শৃঙ্খলা জরুরি।
৪. দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করুন
আপনি হয়তো পাঁচ বছর পর একটি ফ্ল্যাট কিনবেন, এটি আপনার পরিকল্পনা বা লক্ষ্য। তাই লক্ষ্যের ভিত্তিতে স্থায়ী আমানত, সরকারি সঞ্চয়পত্র অথবা বাজারভিত্তিক বিনিয়োগ বেছে নিন। মনে রাখবেন, লক্ষ্য পূরণ করতে আপনি ঝুঁকি কম নিয়ে বিনিয়োগ করবেন।
৫. কর পরিকল্পনা সাজান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সীমা ও ছাড় বিবেচনায় সঞ্চয় বা বিনিয়োগ বেছে নিন। এতে আপনার করের পরিমাণ কমবে। আবার আপনার সঞ্চয়ও বাড়বে। এভাবে কর পরিকল্পনা করতে হবে। তবে সরকার নির্ধারিত কিছু খাতে বিনিয়োগ করলেই কর রেয়াত পাওয়া যায়।
৬. মূল্যস্ফীতির প্রভাব হিসাব করুন
মূল্যস্ফীতি হঠাৎ কমে যায় না। তাই গত কয়েক মাসের মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আগামী বছরের পরিকল্পনা করুণ। সেভাবে মাসিক বাজেটে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করুন। ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে নিয়মিত আপডেট রাখুন।
৭. পারিবারিক ঝুঁকি–সুরক্ষা নিন
পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিমা বা জীবনবিমার মতো সুরক্ষা পরিকল্পনা রাখুন, যাতে হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে সঞ্চয় ভেঙে না যায়।
৮. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
শিক্ষা, বাড়ি কেনা, অবসর—যে লক্ষ্যই হোক না কেন। এ জন্য আলাদা তহবিল ও সময়সীমা ঠিক করে সঞ্চয় শুরু করুন।
৯. ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাজে লাগান
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করে লেনদেন নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ট্র্যাকিং ও বিল পরিশোধ সহজ রাখুন।
১০. পরিকল্পনা নিয়মিত পর্যালোচনা করুন
অর্থনীতি, সুদহার বা বাজার পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনার পরিকল্পনা হালনাগাদ করুন। মাসে একবার পর্যালোচনা করুন।