2025-06-17@15:07:44 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10

«হজরত ইবর হ ম»:

    অনেক সময় এমন হয়, আমরা একটা বিষয় বিশ্বাস করি, তারপর সেই বিশ্বাসকে পাকাপোক্ত করতে অনেক পড়াশোনা করি, নিজ চোখে দেখার চেষ্টা করি, ক্ষেত্রবিশেষ পরীক্ষা–নিরীক্ষাও করে থাকি।বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে আমরা যত বেশি আলোচনা করি, বিশ্বাস তত শক্তিশালী হয়। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তুমি আলোচনা করতে থাকো, কারণ এ আলোচনা ইমানদারদের উপকারে আসবে।’ (সুরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৫)বিজ্ঞানীরা অনেক সময় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত কোনো বিষয়কে সত্য প্রমাণ করেন। মুসলমান হিসেবে তো আমরা বিজ্ঞানীদের প্রমাণ ছাড়া পবিত্র কোরআনের প্রতিটি হরফ বিশ্বাস করি, তবু তাঁদের তত্ত্ব আমাদের মনকে প্রশান্ত করে, বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।এ কারণে আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা ভালো, এতে এলেম বৃদ্ধি পায় এবং ইমানে নতুনত্ব আসে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার এমন একটি ঘটনা...
    হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভই নয়; মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় সম্মিলনও বটে। সারাবিশ্বের মুসলমান পবিত্র জিলহজ মাসে বায়তুল্লাহ জিয়ারতের জন্য মক্কায় মিলিত হন। হজের মাধ্যমে উপস্থিত হাজিরা বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেন– বিশ্বের সব মুসলমান এক জাতি। তাই তারা সাদা হোক বা কালো, ধনী কিংবা গরিব; তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। তারা সবাই মহান আল্লাহর বান্দা।  ৯ জিলহজ পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফার ময়দান সারাবিশ্ব থেকে আসা মুসলমানের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। অর্থাৎ হাজিরা বলছেন– হে আল্লাহ, আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির; তোমার কোনো শরিক নেই। এদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান এবং খুতবা হজের প্রধান আয়োজন।   হজ ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহপাকের নির্দেশে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানোর পর হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া...
    দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গে‌ছে। ফলে ২৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে। এ অনুযায়ী শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। আরো পড়ুন: জিলহজের চাঁদ উঠেছে, ৭...
    সৌদি আরবে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ওই দেশে আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হ‌বে। বাংলা‌দে‌শে ঈদুল আজহা ক‌বে উদযাপন করা হ‌বে, তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর কর‌ছে।  আজ বুধবার (২৮ মে) চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন (১০ জিলহজ) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। আজ চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে এবং ঈদুল আজহা পালন করা হবে ৮ জুন। ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যা‌লোচনা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে বৈঠ‌কে বস‌বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়...
    হজরত মুহাম্মাদ (সা.) তখন মক্কায়। কাফেররা তাঁর নবুওয়াতের সত্যতা যাচাই করতে চাইল। মদিনার ইহুদিদের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাল। প্রতিনিধি দল তাদের কাছে মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে জানতে চাইল। ইহুদিরা প্রতিনিধি দলকে তিনটি প্রশ্ন শিখিয়ে দিয়ে বলল, এগুলোর উত্তর সত্য নবী ছাড়া কেউ দিতে পারবে না। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল ‘ওই ব্যক্তির অবস্থা বলুন, যে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত জয় করতে করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন।’ প্রশ্নগুলোর জবাবে মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর সুরা কাহাফ নাজিল হয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির, ৩/২১-৭২)ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আল্লাহ-তায়ালা নবীকে বললেন, ‘তারা তোমাকে জুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলো, আমি তোমাদের কাছে তার বিষয় বর্ণনা করব।’ (আল্লাহতায়ালা বলেন,) ‘আমি তো তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দান করেছিলাম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৮৩-৮৫)জুলকারনাইন ছিলেন একজন সৎ ব্যক্তি ও ন্যায়পরায়ণ...
    কয়েক দিনের মধ্যেই সারা শহরে হজরত ইবরাহিমের (আ.) মূর্তি ভাঙার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ল, একপর্যায়ে রাজা নমরুদের কানেও পৌঁছল। সেকালে রাজা-বাদশাহরা নিজেদের কেবল দুনিয়ার হর্তাকর্তাই না, বিভিন্ন কাল্পনিক দেবদেবীর অবতার মনে করত। কেউ বলত আমি অমুক দেবতার সন্তান, আবার কেউ বলত আমিই দেবতা, মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। মূলত ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ও জনতাকে বশে রাখতে তারা এসব মিথ্যা গল্প সাজাত। নমরুদও ছিল এই শ্রেণির রাজা, রাজত্বের পাশাপাশি সে দেবত্বেরও দাবিদার ছিল। (সহজ তাফসীরুল কুরআন, মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪১১, মাকতাবাতুল আশরাফ।)ইবরাহিমের (আ.) এক আল্লাহর দাওয়াত তার মধ্যে কাঁপুনি সৃষ্টি করল। সে ভাবল, এই লোক তো আমার রাজত্বের জন্য হুমকি। সে নির্দেশ দিল, এখনই তাকে পাকড়াও করে রাজদরবারে নিয়ে আসো। হজরত ইবরাহিম (আ.) এটাকে দাওয়াতি কাজের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে...
    বাবেলের অধিবাসীরা যখন হজরত ইবরাহিমের (আ.) কথা কর্ণপাত করল না, শক্ত যুক্তিও মেনে নিতে রাজি হলো না, তখন তিনি দাওয়াত দেওয়ার ভিন্ন একটি কৌশল অবলম্বন করলেন। তাদের মন্দিরে অনেকগুলো কাঠের দেবদেবী ছিল, এর মধ্যে একটি ছিল প্রধান দেবতা। তিনি পরিকল্পনা করলেন তার জাতিকে দেখাবেন এই প্রতিমাগুলো কত দুর্বল—নিজের শরীর থেকে একটি মাছি তাড়াবারও শক্তি এদের নেই।একদিন বাবেলে ধর্মীয় মেলা হবে, লোকজন ইবরাহিমকে (আ.) সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। ইবরাহিম (আ.) আকাশের তারকার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি অসুস্থ।’ তিনি ঠিক মিথ্যা বলেননি, তার জাতির কুফরি কাজকর্মে তিনি আত্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারা তার কথা বিশ্বাস করে। (সুরা সফফাত, আয়াত: ৮৮-৯০) ইবরাহিম (আ.) আস্তে আস্তে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতিমাগুলোর কায়দা করব।’ (সুরা আম্বিয়া,...
    আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তোয়াহা তিলাওয়াত করা হবে। ১৬তম পারা পড়া হবে। আজকে আল্লাহর সাক্ষাৎ, তাঁর সঙ্গে শরিক করা, তাঁর অস্তিত্ব, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফিতনা, মরিয়ম ও ঈসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, তওবা, বুড়ো বয়সে জাকারিয়া (আ.)-এর সন্তান লাভ, ইবরাহিম (আ.)-এর একত্ববাদের ঘোষণা ও তাঁর বাবার অস্বীকার, মুমিনের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা, মহানবী (সা.)–কে সান্ত্বনা ও অবিশ্বাসীদের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)আল্লাহ মুসা (আ.)-কে জানালেন, দুই নদীর মোহনায় তাঁর চেয়ে জ্ঞানী এক ব্যক্তি আছেন। মুসা ওই ব্যক্তির সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন। সমুদ্রের কাছে গিয়ে খিজির (আ.)-কে পেলেন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতি চাইলেন। খিজির (আ.) মুসাকে শর্ত দিলেন। একাধিক শর্ত...
    আজ খতমে তারাবিহতে কোরআনের সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা তিলাওয়াত করা হবে। ১৩তম পারা পড়া হবে।আজকের তিলাওয়াতে হজরত ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের চমকপ্রদ ঘটনার শেষাংশ, একাত্ববাদ, স্তম্ভহীন আকাশে আল্লাহর নিদর্শন, কোরআনের মাহাত্ম্য, আল্লাহর জিকিরে অন্তরে প্রশান্তি লাভ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, বিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, নবী-রাসুলদের সঙ্গে অবিশ্বাসীদের আচরণ ও পরিণতি এবং হক-বাতিলের পরিচয় ইত্যাদি বিষয়ের কথা রয়েছে। কারাবন্দী থেকে অর্থমন্ত্রীসুরা ইউসুফে হজরত ইউসুফ (আ.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনীর ধারাবাহিক বিবরণ রয়েছে। গতকালের তারাবিহতে তাঁর জীবনের শুরুর অংশ পাঠ করা হয়েছিল। আজ তারাবিহর শুরুতে বাকি অংশ পড়া হবে। ইউসুফ (আ.)-এর কাছে স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা শুনে মিসরের বাদশাহ তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিতে চাইলেন। কিন্তু মুক্তির আগে নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ দরকার। জুলেখা বাধ্য হয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে...
    হজরত কাব ইবনে ওজারার (রা.) বরাতে একটি হাদিস পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার ওপর আমরা কীভাবে দরুদ পড়ব?’ তিনি বললেন, বলো, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ; আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইবরাহিম ও তাঁর বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইবরাহিম ও তাঁর বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও...
۱