সৌদি আরবে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ওই দেশে আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হ‌বে। বাংলা‌দে‌শে ঈদুল আজহা ক‌বে উদযাপন করা হ‌বে, তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর কর‌ছে। 

আজ বুধবার (২৮ মে) চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন (১০ জিলহজ) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। আজ চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে এবং ঈদুল আজহা পালন করা হবে ৮ জুন।

১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যা‌লোচনা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে বৈঠ‌কে বস‌বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করে‌ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।

প‌বিত্র দুল আজহা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ দিনের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য।

ঈদুল আজহার আরেক নাম কোরবানির ঈদ। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত ঈদুল আজহা হাজির হয় কোরবানির বিশেষ বার্তা নিয়ে। এই দিনে হজরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রিয় সন্তান হজরত ইসমাঈলকে (আ.) আল্লাহর নামে স্বপ্নে কোরবানি করতে দেখেন। পরে তিনি তার সন্তানকে আল্লাহর নামে কোরবানি করতে উদ্যত হন। তাদের অতুলনীয় আনুগত্য এবং ত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখে আল্লাহ সন্তান কোরবানির পরিবর্তে পশু কোরবানির আদেশ দেন। পুণ্যময় এই দিনকে স্মরণ করেই সব ধর্মপ্রাণ মুসলমান আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। 

এ দিনটি আমাদের মাঝে যে বার্তা পৌঁছে দেয়, তা হলো—আল্লাহর প্রতি হজরত ইবরাহিমের (আ.) অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান পুণ্যময় ত্যাগ।

দিনটি আরো শিক্ষা দেয় মানুষের কুপ্রবৃত্তি, হিংসা-বিদ্বেষ, গর্ব-অহংকার, কপটতা, পরশ্রীকাতরতা, পরনিন্দা দূর করার। নিজের সব পশু প্রবৃত্তিকে কোরবানি করে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার ত্যাগের শিক্ষা দেয় কোরবানির ঈদ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ লহজ ম স র ক রব ন র দ ল আজহ আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ