2025-05-02@06:13:04 GMT
إجمالي نتائج البحث: 19
«১৯৯০ স ল র»:
ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের মতোই প্রেমিক টেন্ডুলকার এক অবিশ্বাস্য ব্যতিক্রম। ১৭ বছর বয়সে যে নারীর প্রেমে পড়েছিলেন, এই ৫২ বছর বয়সে এসেও তাঁর সঙ্গেই সুখের সংসার। ভারত তো বটেই, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার খ্যাতি উপভোগ করেছেন একটা সময়, কিন্তু কখনোই অন্য কোনো নারী তাঁকে টানেনি, পারেনি টলাতে। টেন্ডুলকারের জীবনের সেই প্রথম ও শেষ প্রেমের নাম অঞ্জলি। টেন্ডুলকারের ভাষায় যার সঙ্গে হয়েছে তাঁর জীবনের সেরা জুটি! কীভাবে প্রেমে পড়েছিলেন দুজন, পাঁচ বছর কীভাবে লুকিয়ে প্রেম করেছেন, তারপর কীভাবে হলো দুজনের বিয়ে? উত্তর আছে টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে-তে।কী লিখেছেন টেন্ডুলকারআমি তখন সবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের একটু জায়গা বানানোর চেষ্টা করছি। সেই সময়, ১৯৯০ সালের আগস্টে আমার জীবন একটা নাটকীয় মোড় নিল। অঞ্জলির সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হলো। অঞ্জলি—পরে যিনি আমার...
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অভ্যুত্থানের পাঁচ মাসের মাথায় ১০ ডিসেম্বর চাকসু নীতিমালা প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৬ জানুয়ারি ওই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো সেটি জমা পড়েনি। নির্বাচনের কোনো রূপরেখাও তৈরি হয়নি। এতে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা।নির্বাচনের রূপরেখা ও নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ার কারণ হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ‘অজুহাত’ হিসেবে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই চলছে প্রস্তুতিমূলক সভা। এতে চাকসু নির্বাচনের সরব আলোচনায় ভাটা পড়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি, সবকিছু ঠিক...
মহাকাশে দূর থেকে পৃথিবীকে ফ্যাকাশে নীল বিন্দুর মতো দেখা যায়। এ কারণেই নীল বিন্দু নামের তকমা পেয়েছে আমাদের পৃথিবী। ১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৬০০ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে ভয়েজার ১ মহাকাশযান পৃথিবীর একটি ছবি তোলে। সেই ছবিতে পৃথিবীকে সুবিশাল মহাবিশ্বে একটি অস্পষ্ট ফ্যাকাশে নীল বিন্দুর মতো দেখা যায়। সেই বিখ্যাত ছবির নামকরণ করা হয় ‘পেল ব্লু ডট’ বা ফ্যাকাশে নীল বিন্দু। সেটি শুধু সাধারণ কোনো বৈজ্ঞানিক ছবি নয়, মানব অস্তিত্বের ক্ষুদ্রতা ও গুরুত্বের গভীর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়।নব্বইয়ের দশকের শুরুতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান ভয়েজার ১ খেয়াযানের ক্যামেরা ঘুরিয়ে পৃথিবীর ছবি তোলার প্রস্তাব দেন। ভয়েজার ১ তখন প্লুটো কক্ষপথ ছাড়িয়ে বহুদূরে ছুটে যাচ্ছিল। সাগান মনে করেছিলেন, দূর থেকে পৃথিবীকে দেখলে আমাদের গ্রহের আসল স্থান ও মহাবিশ্বে আমাদের ক্ষুদ্রতা আমরা উপলব্ধি...
পেরুর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস ইয়োসা (৮৯) মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে তার ছেলে আলভারো বার্গাস ইয়োসা একটি পারিবারিক বিবৃতি প্রকাশ করেন। আজ সোমবার লেখকের পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল জয় করেন বার্গাস ইয়োসা। সুইডিশ অ্যাকাডেমি তার শক্তিশালী লেখনীর ভূয়সী প্রশংসা করে। মূলত স্প্যানিশ ভাষায় লিখতেন মারিও। শুধু সৃষ্টিশীল সাহিত্য নয়, তিনি গুরুত্ব পেয়েছেন তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী রচনার জন্যও। বার্গাস ইয়োসার স্মরণীয় উপন্যাসের মধ্যে আছে ‘কনভারসেশন ইন দ্য ক্যাথেড্রাল (১৯৬৯)’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৮১)’ এবং ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার (১৯৭৭)’। আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার বইয়ের কাহিনী অনুসারে ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় ‘টিউন ইন টুমরো’ নামের সিনেমা। আরো পড়ুন: ...
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে রওশন এরশাদপন্থী জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন খুলনার তিন নেতা। আজ শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ওই ঘোষণা দেন।এই তিন নেতা হলেন, জাতীয় পার্টির (রওশন) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোল্যা শওকত হোসেন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মাসুদুর রহমান। তাঁরা জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়। আমরা আশা করেছিলাম অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণের পাশে থেকে দল রাজনীতি করে যাবে। কিন্তু দেখলাম জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা ১৯৯০ সালের পর থেকে নিজস্ব রাজনীতিতে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং প্রায়...
৫২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তিনি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভের পর ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় দিতে হলে বসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে বহিষ্কার হন তিনি। এরপর বন্ধ হয়ে যায় তার পড়ালেখা। অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইউপি সদস্য দুলু। এরপর স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আবারও পড়ালেখা করার মনোবল ফিরে পান। অবশেষে চলতি দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তার এমন ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেছেন জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম রব্বানিসহ এলাকার সুধিজন। দেলোয়ার হোসেন দুলু জানান, তার পরিবারের সবাই শিক্ষিত। শুধু তিনিই কম শিক্ষিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই কষ্ট পেতেন। ২০২১ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩...
যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যাওয়া অকুতোভয় বীর সংশপ্তক। দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে সদাজাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাংলার আপামর জনতার স্বাধীনচেতা, অকুতোভয় মানসিকতার সাহসী প্রতিবিম্ব এই সংশপ্তক। ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভাস্কর্য স্বাধীনতার মহান স্মৃতি আর গৌরবের মহিমায় মহিমান্বিত। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ নির্মিত হয়েছিল স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক। এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাওয়া দেশমাতৃকার বীর সন্তান। ১৯৯০ সালে নির্মিত ভাস্কর্যটির ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।
জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বজুড়ে একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দেশের দীর্ঘ উপকূলরেখা ও নিম্নভূমি এলাকা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে সিলেট ও পিরোজপুর জেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সিলেটে ৯৫ ভাগ উত্তরদাতা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন, যা কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ৫৬ ভাগ কৃষক ফসলহানির শিকার হয়েছেন। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অভিবাসনের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অভিবাসন নিরাপদ ও টেকসই না হওয়ায় অনেকেই শ্রম শোষণ, মানব পাচার ও আধুনিক দাসত্বের শিকার হচ্ছেন। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘রাউন্ডটেবিল কনসাল্টেশন ও মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২৫’ শীর্ষক পরামর্শক সভায় এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে...
১৯৯০ সালে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। আর গণতন্ত্রের উল্টোপথে যাত্রা ঠেকাতে প্রয়োজন ছিল কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্কার। সে সময় সংস্কারে জোর না দিয়ে নির্বাচন ও নির্বাচনের সময়সীমায় গুরুত্ব দেওয়া ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভুল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ–রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচ। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) বিআইআইএসএস’এ ‘নতুন ভোরের পথে ঢাকা: গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন গতিপথ’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে। সিজিএস আয়োজিত সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচ। সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার...
কী নেশায় পেয়েছে ইউরোপকে, সে কেবল তারাই বলতে পারে। এত দিন বাইডেন প্রশাসনের কথায় উঠেবসে ইউক্রেন তেলজল জুগিয়েছে। এবার ট্রাম্পের চপেটাঘাতে ইউক্রেন ও জেলেনস্কি ক্ষতবিক্ষত হলেও ইউরোপ যেন আগের জায়গা থেকে সরছে না। যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে অপমানিত জেলেনস্কিকে বুকে টেনে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে ইউক্রেনকে ২২৬ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছেন।এই হচ্ছে বাস্তবতা। রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে অসম যুদ্ধ টেনে নিয়ে যেতে ইউক্রেনের চেয়ে ইউরোপের বড় দেশগুলোর আগ্রহই বেশি। ফলে যুদ্ধটা যে কেবল ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার নয়, বরং ইউরোপ ও সামগ্রিকভাবে পশ্চিমের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না; সবাই কমবেশি জানেন। কিন্তু ইউরোপকে বুঝতে হবে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের থাকতে হবে। রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারাই যে বিপদে পড়েছে, সে কথা বুঝেও...
বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে। সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নানা উদ্যোগের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা নিম্নমুখী। জনস্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানসেটের এক নিবন্ধে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ওই নিবন্ধে বাংলাদেশেও আত্মহত্যার প্রবণতা কমে আসার কথা বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় জরিপ অনুযায়ী, কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার এখনো তুলনামূলক অনেক বেশি। দেশে প্রতিদিন ৫৬ জন মানুষ আত্মহত্যা করছেন।১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে গত মাসের শেষ সপ্তাহে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে ল্যানসেট। এতে বাংলাদেশের আত্মহত্যা–সম্পর্কিত পরিসংখ্যানও প্রকাশ করে বলা হয়েছে, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে তিনজনের বেশি আত্মহত্যা করছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অর্থায়নে পরিচালিত জরিপ বলছে, দেশে ১ লাখ মানুষে ১২ জন আত্মহত্যা করছেন।জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, বৈশ্বিক গবেষণার ক্ষেত্রে ল্যানসেট সাধারণত অনুমিত সংখ্যা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা অনুমিত...
‘অন্তহীন বিতর্কযাত্রা: একটি আত্মজীবনীর খসড়া’ বলা যেতে পারে, একটি প্রথাবিরোধী বিতর্ক বিষয়ক বায়োফিকশন। এই ফিকশনের মূল চরিত্র বাংলাদেশের একটি জেলা শহরে বেড়ে ওঠা এক স্বপ্নাতুর কিশোর। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটা নদী। সেখানে রয়েছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, একই সাথে আছে গ্রামের সহজিয়া জীবনবোধ। ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে অজানা গন্তব্য থেকে আলো হাতে ছুটে আসে অগণিত জোনাকি। শহরটিতে রয়েছে নদীর মতোই বহমান সাংস্কৃতিক জীবন। অনেকটা নিভৃতে, এই শহর কিশোরটিকে স্বপ্ন দেখায়। ১৯৯০-এর দশকের বাংলাদেশে বিতর্কের যে ধারা জনপ্রিয়তা পায়, তা পরবর্তীকালে ক্রমশই বদলে যেতে থাকে। দেখা যায়, ছোট্ট এক মফস্বল শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কিশোরটি বিতর্কচর্চার বিরাট এক বর্ণিল জগতকে খুঁজে পায়। এবং সে অজস্র স্বপ্নের ভেতর দিয়ে নিজেকেই অতিক্রম করতে থাকে; দেখা পায় দিগন্তরেখার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছেলেটির প্রেম হয়, জীবনে...
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐক্যের ইতিহাস বরাবরই দুর্লভ। ঐক্যের অভাবে দেশ বিভিন্ন সময়ে গভীর সংকটে আবর্তিত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধানে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে ’৭১-এর স্বাধীনতা কিংবা ’৯০–এর গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার, জনগণের প্রতি প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা, বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজনৈতিক দলগুলো বারবার ব্যর্থ হয়েছে।স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাত্র একবারই বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্য প্রচেষ্টার নজির পাওয়া যায়, যা ঘটেছিল ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়। সে সময় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছিল যে স্বৈরাচার এরশাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। তবে সেই ঐক্যের বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে এবং গণতন্ত্র কতটা সুসংহত হয়েছে, তা আজও বিতর্কের বিষয়।তিন জোটের রূপরেখার ব্যর্থ...
নামিবিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট স্যাম নুজোমা ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর নামিবিয়ার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন নুজোমা। ২০০৫ সালে পার্লামেন্টের এক আইনের মাধ্যমে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নামিবিয়ান জাতির প্রতিষ্ঠাতা পিতা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তবে তার শাসনামল প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনারও মুখোমুখি হয়। গণমাধ্যমের প্রতি তার কঠোরতা, সমকামিতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ১৯৯৮ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে বিতর্কিত বলে অভিহিত করেন সমালোচকেরা। নুজোমাকে ‘আফ্রিকার অন্যতম মহান বিপ্লবী নেতা’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মৌসা ফাকি মাহামাত। স্যাম নুজোমা ১৯২৯ সালে উত্তর-পশ্চিম...
আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট স্যাম নুজোমা মারা গেছেন। রাজধানী উইন্ডহোকে ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নাঙ্গোলো এমবুমবা আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর-বিবিসি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেন নুজোমা। ১৯৯০ সালে সাউথ ওয়েস্ট পিপলস অর্গানাইজেশন নামে পরিচিত নামিবিয়ার মুক্তি আন্দোলনে তার নেতৃত্ব স্বাধীন হয় নামিবিয়া। স্বাধীনতার পর নুজোমা ওই বছরই দেশটির প্রেসিডেন্ট হন এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দেন। অবসরের পরও দেশটিতে তিনি খুবই জনপ্রিয় ও সম্মানিত ছিলেন। নামিবিয়ার ব্যাংক নোটে নামিবিয়ার ‘জাতির পিতা’ হিসেবে তার ছবি ব্যবহার রয়েছে। মৃত্যুর আগে ২০২২ সালে সর্বশেষ জনসমক্ষে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ওভামবো গোত্রের এক দরিদ্র কৃষকের ঘরে জন্ম নেন নজুমা। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের দশ সন্তানের মধ্যে বড়। ১৯৬০...
প্রথম দিন সকালে ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারানো উইন্ডিজ কি এমন কিছু ভেবেছিল? হয়তো সে সুখানুভূতির কারণেই গতকাল শেষবেলায় সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলার পরও কোনো আক্ষেপ ছিল না ক্যারিবিয়ান কিপার টেভিন ইমলাখের। এ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ফেলছে তারা। এর পরও হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ৩৫ বছর পর জয়ের সুবাস পাচ্ছে তারা! ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৬ রান করেছে পাকিস্তান। ১৯৯০ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম জয় থেকে আর ৬ উইকেট দূরে রয়েছে ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানের প্রয়োজন আরও ১৭৮ রান। প্রায় বধ্যভূমিতে পরিণত হওয়া মুলতানের স্পিন উইকেটে যা অসম্ভবই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট জিতেছে উইন্ডিজ। যার সর্বশেষটি এসেছিল ১৯৯০ সালে ডেসমন্স হেইন্সের নেতৃত্বে। ওই দলে ছিলেন...
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের দুই নেতা নিহত মানিক সাহা ও চয়ন মল্লিকের স্মৃতিস্তম্ভ ও ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শহীদ মিনারের পাশে এবং ভিক্টোরিয়া কলেজের পূর্ব পাশে স্থাপিত এ দুটি স্থাপনা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ২৫-৩০ জন শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে মানিক সাহার স্মৃতিস্তম্ভ এবং কলেজ সীমানার পাশে চয়ন মল্লিকের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনা সম্পর্কে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের নৈশপ্রহরী মিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোর ৬টার দিকে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেলে ৩০ জন আসে। তারা হাতুড়ি দিয়ে মানিক সাহার স্মৃতিস্তম্ভ এবং কলেজ সীমানার পাশে চয়ন মল্লিকের ম্যুরাল ভাঙচুর করে। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। তিনি সামনে এগিয়ে গেলে তারা তাঁকে ভয়ভীতি দেখায়। তখন তিনি চলে আসেন।...
বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র মরছে। এটি শুনতে মনে আতঙ্ক জাগতে পারে। এ থেকে কয়েকটি প্রশ্নও উঠতে পারে: আসলে এর মানে কী? নির্বাচন কি হবে না? বিরোধী দলকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে কী? যদি এগুলো হয় মানদণ্ড, তাহলে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ায় গণতন্ত্র বিরাজমান বলতে হবে। রাশিয়ার ফেডারেল সংসদ দুমায় ছয়টি রাজনৈতিক দল প্রতিনিধিত্ব করে, দেশটিতে ২০টির বেশি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। রাশিয়াতে কোনো গণতন্ত্র নেই। বস্তুত এটি এমন একটি জাতি, যা অতীতের কর্তৃত্ববাদ ও সর্বগ্রাসীবাদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে জোসেফ স্টালিনের শাসনের চেয়ে অনেক বেশি রাশিয়ান রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য নির্যাতিত হচ্ছেন। গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা প্রশ্নাতীতভাবে কমে যাচ্ছে। একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৫ বছরের কম বয়সী ব্রিটেনের পাঁচ ভাগ লোক বিশ্বাস করেন, একটি দেশ কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা হলো,...