নামিবিয়ার ‘জাতির পিতা’ নুজোমা মারা গেছেন
Published: 9th, February 2025 GMT
নামিবিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট স্যাম নুজোমা ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর নামিবিয়ার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন নুজোমা। ২০০৫ সালে পার্লামেন্টের এক আইনের মাধ্যমে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নামিবিয়ান জাতির প্রতিষ্ঠাতা পিতা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তবে তার শাসনামল প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনারও মুখোমুখি হয়। গণমাধ্যমের প্রতি তার কঠোরতা, সমকামিতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ১৯৯৮ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে বিতর্কিত বলে অভিহিত করেন সমালোচকেরা।
নুজোমাকে ‘আফ্রিকার অন্যতম মহান বিপ্লবী নেতা’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মৌসা ফাকি মাহামাত।
স্যাম নুজোমা ১৯২৯ সালে উত্তর-পশ্চিম নামিবিয়ার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশটি তখন দক্ষিণ আফ্রিকার অধীনে ছিল। তার শৈশব কাটে গবাদিপশু চরিয়ে। পরবর্তী জীবনে তিনি ওয়ালভিস বে ও রাজধানী উইন্ডহোকে কাজ শুরু করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রেলওয়েতে চাকরির সময় তিনি বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে থাকেন।
১৯৫০-এর দশকের শেষ দিকে ওওয়াম্বো পিপলস অর্গানাইজেশনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন নুজোমা। এটি পরে একটি স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগঠনে রূপ নেয়। ১৯৬০ সালে তিনি নির্বাসনে চলে যেতে বাধ্য হন এবং জাতিসংঘে নামিবিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
প্রবাস জীবন থেকেই নামিবিয়ার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন নুজোমা। ১৯৬৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৯০ সালে ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে নামিবিয়া।
স্বাধীনতার পর ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নুজোমা। তিনি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। তার নেতৃত্বে তার দল ‘এক নামিবিয়া, এক জাতি’ নীতির মাধ্যমে সমাজে সংহতি গড়ে তুলতে কাজ করে। তবে ১৯৯৯ সালের ক্যাপ্রিভি বিদ্রোহের কঠোরভাবে দমন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ তার ভাবমূর্তিতে কালিমা লাগায়।
নামিবিয়া ছাড়াও আফ্রিকার অন্যান্য নেতারা নুজোমার অবদান স্মরণ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ‘‘ড.
নুজোমা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘দুঃখজনকভাবে, আমাদের এই মহামান্য নেতা এবার আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলেন না।’’
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বলিউডের প্রথম কোটি রুপি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা কে?
ভারতীয় অনেক অভিনেতাই এখন একটি সিনেমা জন্য ১০০-৩০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। এখন প্যান-ইন্ডিয়ার সিনেমাগুলো অনেক বড় বাজেটে নির্মিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বড় বড় তারকাও। কিন্তু জানেন কি বলিউডের কোন অভিনেতা প্রথম এক কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন?
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ১৯৯০ সালে প্রযোজক কে. সি. বোকাদিয়া চলচ্চিত্র পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘আজ কা অর্জুন’। তার স্বপ্ন ছিল তার সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর পরিচালক অমিতাভের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যানেজার জানান, অমিতাভের পারিশ্রমিক ৮০ লাখ রুপি।
প্রযোজক কে. সি. বোকাদিয়া জানতেন—অমিতাভের পারিশ্রমিক ৭০ লাখ রুপি। তারপরও বোকাদিয়া পিছু না হটে, সবাইকে অবাক করে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বলিউডের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অভিনেতাকে এত বড় অঙ্কের পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
‘সাইয়ারা’ কেন এতটা সাড়া ফেলেছে?
সারা আলীর নতুন প্রেমিককে কতটা জানেন?
অমিতাভ বচ্চনকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তা নেননি। বলিউড শাহেনশাহ তার যা পারিশ্রমিক অর্থাৎ ৭০ লাখ রুপি নিয়েছিলেন। পরে সিনেমাটির শুটিংয়ের সময়ে প্রযোজক-পরিচালক বোকাদিয়ার সঙ্গে অমিতাভের ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার ‘আজ কা অর্জুন’ সিনেমায় অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন জয়া প্রদা। তাছাড়াও অভিনয় করেন—রাধিকা, সুরেশ ওবেরয়, কিরন কুমার, অনুপম খের, অমরিশ পুরি প্রমুখ। ১৯৯০ সালের ১০ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। সাড়ে ৩ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ১০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত