ভারতীয় অনেক অভিনেতাই এখন একটি সিনেমা জন্য ১০০-৩০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। এখন প্যান-ইন্ডিয়ার সিনেমাগুলো অনেক বড় বাজেটে নির্মিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বড় বড় তারকাও। কিন্তু জানেন কি বলিউডের কোন অভিনেতা প্রথম এক কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন?  

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ১৯৯০ সালে প্রযোজক কে. সি.

বোকাদিয়া চলচ্চিত্র পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘আজ কা অর্জুন’। তার স্বপ্ন ছিল তার সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর পরিচালক অমিতাভের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যানেজার জানান, অমিতাভের পারিশ্রমিক ৮০ লাখ রুপি। 

প্রযোজক কে. সি. বোকাদিয়া জানতেন—অমিতাভের পারিশ্রমিক ৭০ লাখ রুপি। তারপরও বোকাদিয়া পিছু না হটে, সবাইকে অবাক করে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বলিউডের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অভিনেতাকে এত বড় অঙ্কের পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দেওয়া হয়।  

আরো পড়ুন:

‘সাইয়ারা’ কেন এতটা সাড়া ফেলেছে?

সারা আলীর নতুন প্রেমিককে কতটা জানেন?

অমিতাভ বচ্চনকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তা নেননি। বলিউড শাহেনশাহ তার যা পারিশ্রমিক অর্থাৎ ৭০ লাখ রুপি নিয়েছিলেন। পরে সিনেমাটির শুটিংয়ের সময়ে প্রযোজক-পরিচালক বোকাদিয়ার সঙ্গে অমিতাভের ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার ‘আজ কা অর্জুন’ সিনেমায় অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন জয়া প্রদা। তাছাড়াও অভিনয় করেন—রাধিকা, সুরেশ ওবেরয়, কিরন কুমার, অনুপম খের, অমরিশ পুরি প্রমুখ। ১৯৯০ সালের ১০ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। সাড়ে ৩ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ১০ কোটি রুপি। 

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মতে, বিশ্ব বর্তমানে একটি এআই বুদ্‌বুদের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৯০ দশকের শেষ দিকের ডটকম বুদ্‌বুদ বা বুমের সঙ্গে তুলনা করে এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। মেসেজিং অ্যাপ থেকে শুরু করে ব্রাউজার বা কোডিং করার জন্য নানা ধরনের এআই টুল আছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই এখন কোনো না কোনো রূপে এআই ব্যবহার করা যাচ্ছে। আর তাই ওপেনএআই, পারপ্লেক্সিটি বা অ্যানথ্রোপিকের মতো এআই প্রতিষ্ঠানগুলোয় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিল গেটস এই অবস্থাকে ডটকম বুদ্‌বুদের মতো একটি এআই বুদ্‌বুদ মনে করছেন।

বিল গেটস বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি এআই বুদ্‌বুদে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কোনো কাল্পনিক বিষয় নয়। এআই বুদ্‌বুদ ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ডটকম ধসের আগে প্রযুক্তিশিল্প যেমন অবস্থায় ছিল, তেমন। ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ডটকম বুমের ফলে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করা হয়। ফলে ২০০০ সালে ডটকমে ধস নেমে আসে। কিছু প্রতিষ্ঠান তখন সফল হয়েছিল, কিন্তু পুঁজি নষ্ট করা বহু প্রতিষ্ঠান ছিল।

বিল গেটসের আগে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানও এআই ভবিষ্যতে একটি বুদ্‌বুদ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীরা এআই নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি। মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গও এ বছরের শুরুতে এআই বুদ্‌বুদ হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের