নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে প্রজেক্ট প্রপোজাল রাইটিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে ‘রাইটিং এটিএফ সাব-প্রজেক্ট প্রপোজাল’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড.

আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ)।

কর্মশালায় কি-নোট স্পিকার ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন মনোনীত প্রশিক্ষক পুলের বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাওছিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী। প্রোগ্রাম মডারেটর ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জিএম রাকিবুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ) বলেন, “এ কর্মশালার মাধ্যমে আপনারা একটি গাইডলাইন পাবেন এবং একাডেমিক টান্সফর্মেশন ফান্ডের (এটিএফ) ক্ষেত্রে একটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই এ ধরনের প্রজেক্ট রাইটিং এবং প্রজেক্ট রিলেটেড বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্ষেত্রে উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রজেক্ট প্রপোজাল পাঠাতে হবে এবং একটা সময় এর ফল পাওয়া যাবে।”

প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “এ কর্মশালার মাধ্যমে প্রজেক্ট প্রপোজাল বিষয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমাদের কাজে আসবে।”

তিনি বলেন, “পাবলিকেশনের সংখ্যা বাড়লে বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে ফান্ডিংয়ের বিষয়টা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাই এ ধরনের কর্মশালা সামগ্রিক বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রজেক্ট আনতে পারলে এ পরিশ্রম সার্থক হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ