বিপিএল দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবি
Published: 26th, January 2025 GMT
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আসন্ন এই মেগা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। বর্তমানে বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলার পাশাপাশি আসন্ন ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন নবি। দেশের হয়ে শেষ টুর্নামেন্ট খেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পুরো ভিন্ন এক কন্ডিশন। তবে এখন আমার ফোকাস বিপিএলে। এখান থেকে ফিরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভাবব।’
নবি আরও জানান, ওয়ানডে ফরম্যাটের ১০০ ওভারের ম্যাচে ফিট থাকতে প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। ফিটনেস ধরে রাখতে এখন থেকেই কাজ করছেন তিনি, ‘এখন মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। শরীর, মন এবং ফিটনেস ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং-বোলিং করছি, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বেশ কাজে আসবে।’
নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে নবি বলেন, ‘এটা একেবারেই মানসিকতার ব্যাপার। নিজেকে ওয়ানডের জন্য তৈরি করছি। জিম করছি, দীর্ঘ সময় ধরে প্র্যাকটিস করছি, যাতে বিপিএল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুটোরই প্রস্তুতি ভালো হয়। এখন প্রথম লক্ষ্য বিপিএল, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। আফগানিস্তান রয়েছে 'বি' গ্রুপে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রয়েছে 'এ' গ্রুপে, যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫