বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রস্তুতি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৪ ঘণ্টা সেবা পেতে মোবাইল নম্বর চালুসহ খোলা হয়েছে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়, পুরো ইজতেমা ময়দানে অগ্নিনিরাপত্তায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৭৪ জনবল। তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রতিটি খিত্তায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারসহ দু’জন করে ফায়ারফাইটার সবসময় দায়িত্ব পালন করবেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইজতেমা ময়দান পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে দু’টি ফায়ার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে ফায়ার সার্ভিসের সেবা পেতে ০১৯০১০২০৮৬৫ ও ০২২২৪৪১০০৮২ নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অগ্নিনিরাপত্তা প্রদানে ময়দানের বিভিন্ন স্থানে চারটি পানিবাহী গাড়ি, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, ১৪টি পাম্প, ২২০টি ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ১৩টি জেনারেটর, ১২৮টি ওয়াকিটকি, ১৫০টি ডেলিভারি হোজ, ১৪টি ব্রাঞ্চ পাইপ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

এছাড়া নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তুরাগ নদীতে (কামারপাড়া ব্রিজের নিচে) রেসকিউ স্পিড বোট ও ৪ জনের ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত অগ্নিনির্বাপণে পানি প্রদানের জন্য তুরাগ নদীর তীরে ৬টি, বিভিন্ন রিজার্ভারে ৫টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টঙ্গী, উত্তরা ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনগুলো ইজতেমাকালীন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম ইজত ম ময়দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ