ইজতেমায় চলবে ১১ বিশেষ ট্রেন, জেনে নিন সময়সূচি
Published: 30th, January 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ উপলক্ষে মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধায় ১১টি বিশেষ ট্রেনের চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যদিও এর আগে ১৪টি চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম পর্বের ইজতেমায় জামালপুর ও টাঙ্গাইল স্পেশাল ট্রেন দুটি বাদ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রেলের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমা স্পেশাল নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। জুমা স্পেশাল-১ ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে টঙ্গী পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। জুমা স্পেশাল-২ বিকেল ৩টায় টঙ্গী স্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে।
এছাড়া আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ফেব্রুয়ারি) পরিচালনা করা হবে ৯টি ট্রেন। এর মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল-১ ঢাকা ছাড়বে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে, ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল-২ ঢাকা ছাড়বে ভোর ৫টায়, ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল-৩ ঢাকা ছাড়বে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে এবং ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল-৪ ঢাকা ছাড়বে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
অন্যদিকে, টঙ্গী স্টেশন থেকে ফেরার পথে টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-১ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে, টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-২ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে, টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-৩ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে, টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-৪ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এবং টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-৫ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে বেলা ১১টা ৭ মিনিটে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।