তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত
Published: 31st, January 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমা’র নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলো। একসঙ্গে লাখো মুসল্লির সঙ্গে নামাজ পড়তে সকাল হতেই ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল হতে ময়দান আসতে শুরু করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জুমার নামাজে ইমামতি করেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। দুপুর ১ টা ৪৩ মিনিটে খুতবা শুরু হয়। জুমার নামাজ ১টা ৫১ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫৬ মিনিটে।
জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লি ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার বহু মানুষ ইজতেমাস্থলে হাজির হন।
ভোর থেকে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে, এমনকি হেঁটে ইজতেমাস্থলে আসতে থাকেন। কেউ কেউ ময়দানে প্রবেশ করে নিজ নিজ এলাকা থেকে আগত পরিচিতদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। ময়দানের নির্ধারিত খিত্তার পাশাপাশি তুরাগ নদীর পশ্চিমপাড়ে, ময়দান পার্শ্ববর্তী কামারপাড়া সড়কে ও ফুটপাতে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফুটপাতে এবং খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করেন আগত মুসল্লিরা।
এদিকে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৫ টি আলাদা সেক্টরে কাজ করছেন ৭ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। এছাড়াও অন্তত ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা জানান, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রতিবছর তাবলীগ জামাত বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। ইজতেমায় বয়ান করেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব মাওলানারা। এতে বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। প্রতিবছর ইজতেমার সময় শুক্রবার দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা।
তাবলিগ জামাতের শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ্ রায়হান জানান, বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের শেখ উমর খাতিব সাহেব, বাদ আসর বয়ান করবেন- মাওলানা জুবায়ের সাহেব, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন- ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট।
তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশ তাবলিগ জামাত শুরায়ে নেজামের অধীনে ৩১ জানুয়ারি (আজ) শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম ন করব ন ইজত ম র ময়দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ