‘তিনটি শর্ত মেনে নিলেই ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা সম্ভব’
Published: 1st, February 2025 GMT
তিনটি শর্ত মেনে নিলে ঐক্যবন্ধ ইজতেমা সম্ভব বলে জানিয়েছেন শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ’র শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান।
রবিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পুলিশের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, “যে কারণে ইজতেমা বিভক্ত হলো সে কারণটা সমাধান হলেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায়। ওই কারণটার জন্য আমাদের ওলামায়ে কেরাম ও সারা বিশ্বের আলেমরা তিনটি শর্ত দিয়েছেন।”
আরো পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু
বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর বিশ্ব ইজতেমা শুরু
শর্তগুলো হলো- মাওলানা সাদ নিজেকে এককভাবে নেতা মনে করছেন। আমরা বলেছি, এককভাবে নয়, এটি একটি সুরার মাধ্যমে চলবে।
আরেকটি হচ্ছে উনি (মাওলানা সাদ) নিজস্বভাবে উনার দাদা পর-দাদারা ইজতেমার জন্য তাবলিগের যে নিয়ম করে গেছেন, মাশওয়ারা ছাড়াই নতুন নতুন কিছু নিয়ম সৃষ্টি করেছেন। যা বাদ দিতে হবে।
তৃতীয় শর্তটি হচ্ছে, মাওলানা সাদ সাহেব কোরআন হাদিসের খেলাফ যেসব মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো থেকে তাকে ফিরে আসতে হবে।
প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, “এই তিনটি জিনিস যদি মাওলানা সাদ সাহেব মেনে নেন, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে আর কোনো বাধা থাকবে না। আমাদের সঙ্গে কারো কোনো দুশমনি বা টাকা পয়সার জন্য ভাগ হয়নি। আমরা শরিয়তের কারণে এখানে আটকে আছি।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ