বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে হবে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইজতেমা ময়দানে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের কাছে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।

তিনি বলেন, “ইজতেমা নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চান, তারা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারছেন না। আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৬টা থেকে ঢাকার ৩০০ ফিটের প্রান্ত, ধওর ব্রিজের প্রান্ত এবং ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ইজতেমামুখী রাস্তায় সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিরা ময়দান ত্যাগ করার পর সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”

জিএমপি কমিশনার বলেছেন, “শনিবার পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার শঙ্কা বোধ হচ্ছে না। আমরা মুসল্লিদের সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছি। ইজতেমা কর্তৃপক্ষ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। তারাও নিরাপত্তার দিকটি দেখছে।”

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জিএমপি কমিশনার ড.

নাজমুল করিম খান।

উল্লেখ্য, তিন ধাপে হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশ তাবলিগ জামাত শুরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। ৮ দিনের বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করবেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ