কুয়াশায় আচ্ছন্ন মাঘের শীত উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসছেন ইজতেমা মাঠে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তুগারতীরে ইজতেমা ময়দানে আসেন। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। এতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকেই ময়দানমুখী হোন মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে মুসল্লিদের স্রোত বাড়তে থাকে। 

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ভোগড়া বাইপাস থেকে ইজতেমা মাঠের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। যার পুরোটায় হেঁটে মুসল্লিরা রওনা হয়েছেন ইজতেমা মাঠে।

গাজীপুরের জৈনা বাজার থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ময়দানে যাচ্ছেন নয়ন মিয়া। মাওনা চৌরাস্তায় এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, “ভোর ৪টায় বাসা থেকে বের হয়েছি আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে বাস পাচ্ছি না। এ কারণে হেঁটেই যাচ্ছি।” 

ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন আমিনুল । তিনি জানান, ভোর রাত ৪টায় পিকআপে করে কাপাসিয়া থেকে ময়দানের উদ্দেশ্যর রওনা দিয়ে ভোগড়া বাইপাস নেমেছেন। কিছু সময় পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন। গাড়ি না পেয়ে অন্যান্য মুসল্লিদের মতো হাঁটা শুরু করেন। পুরো পথ তিনি হেঁটেই যাবেন।

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হচ্ছে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মানুষ।

এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। তাতে অংশগ্রহণ করবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মানুষ। দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ঢাকা/রেজাউল করিম/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইজত ম ময়দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ