তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দুই ধাপের প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তবে মোনাজাতের শেষের দিকে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। ড্রোনের বাতাস ও ড্রোন মাটিতে পড়ার শব্দ থেকে এই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এতে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে থাকা অবস্থায় সমকালের টঙ্গী প্রতিনিধি আবু সালেহ মুসাসহ শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।

রোববার শুরায়ে নেজামের আখেরি মোনাজাত চলাকালে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, তারা মোনাজাতে মগ্ন ছিলেন। এসময় হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস আসে। পরে একটি ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। এই আতঙ্কে তারা ছুটাছুটি করতে থাকেন। এসময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি পড়ে গিয়ে আহত হন।

আহত মুসল্লি ফয়সাল বলেন, আমার সামনে হঠাৎ ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে মুসল্লিরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। আমিসহ অনেক মুসল্লি আহত হয়েছেন।

টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, ড্রোনটি ইজতেমার মাঠের কাছে পড়ে যাওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে ছুটাছুটি করলে কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। ড্রোনের ব্যাটারি শেষ হওয়ার কারণে মাটিতে পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ড্রোনটি কার তা জানা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে সাংবাদিকের ছেলে ছুরিকাহত
  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন