ইজতেমা ময়দানের আশপাশে ড্রোন উড়াতে লাগবে অনুমোদন
Published: 2nd, February 2025 GMT
পুলিশের অনুমতি ছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় ড্রোন ও ড্রোন ক্যামেরা উড়ানো বা ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ইজতেমা ময়দানে বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫ চলমান রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়। মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকার ২ (দুই) কিলোমিটারের মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) এর অনুমতি ছাড়া ২ ফেব্রুয়ারি হতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ড্রোন ও ড্রোন ক্যামেরা অথবা ভিডিওসহ অন্য কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস উড়ানো বা ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
আরো পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমায় ৬৩ যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সোয়া ৯টার মধ্যে
বিজ্ঞপ্তি আরো বলা হয়, “এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি সংস্থা কর্তৃক বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ড্রোন ব্যবহারের সংখ্যা ও ড্রোন উড্ডয়নের সময় সম্পর্কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবিকে পূর্বে অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলাকালে ইজতেমা ময়দানের ২ নম্বর গেটের সামনে বিকট শব্দ হয়। এতে মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এঘটনায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, যে বিকট শব্দ পাওয়া যায়, সেটি ছিল একটি ড্রোনের আছড়ে পড়ার শব্দ।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অসংখ্য মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম আহত ব শ ব ইজত ম ময়দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন
ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
আরো পড়ুন:
কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব