বিশ্ব ইজতেমা: দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ
Published: 5th, February 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে শুরায়ি নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন শুরায়ি নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ।
এর মাধ্যমেই শেষ হবে শুরায়ি নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার জমায়েত। তবে এ অংশের আখেরি মোনাজাতে আগের মতো বন্ধ থাকবে না যান-চলাচল।
শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের প্রথম ধাপের ইজতেমা। ব্যতিক্রমভাবে এবারই প্রথম দুই পর্বের ইজতেমার আয়োজন করেন তারা। গত ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা।
এদিকে ইজতেমাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ হাজার সদস্যদের পাশাপাশি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়।
জিএমপি কমিশনার ড.
আয়োজকরা জানান, বুধবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হেদায়েতি বয়ান করবেন হিন্দুস্থানের মাওলানা আব্দুর রহমান। এ বয়ানের পর গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন শুরায়ি নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ। প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতও তিনিই পরিচালনা করেছেন।
ইজতেমার ঐতিহ্য অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে বাদ আছর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব ইজতেমায় বরাবরই বিশেষ আকর্ষণ থাকে এ বিয়ে। দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমায় মোট ২৩টি যৌতুক বিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ৫৮তম টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় শুরায়ি নেজামের অধীনে দুই ধাপে মোট ৮৬টি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রথম পর্বে এখন পর্যন্ত গতকাল মঙ্গলবার ১ জনসহ মোট ৭ জন মুসল্লি মারা গেছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়, যা আজ শেষ হচ্ছে।
৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম র র ইজত ম র প রথম পর ব র করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?