আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা
Published: 5th, February 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি মাওলানা জোবায়ের আহমেদ এ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর মাধ্যমেই শেষ হলো মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের এবারের ইজতেমা।
এর আগে আজ ফজরের নামাজের পর ভারতের শীর্ষ মুরব্বি মো.
প্রথম ধাপের মতো এবারও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন রাজধানী ঢাকা, তার আশপাশের এলাকাসহ দূরদূরান্তের হাজারো মুসল্লি। মোনাজাতে মাওলানা জোবায়ের দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন। এ সময় মোনাজাতে অংশ নেওয়া হাজারো মুসল্লি দুহাত তুলে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। তাঁদের ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরেই মোনাজাতের সময় ঘোষণা করেছিলেন ইজতেমা আয়োজকেরা। সে হিসাবে গতকাল রাত ও আজ বুধবার সকালে বিক্ষিপ্তভাবে ইজতেমা মাঠের দিকে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। তবে এ ধাপে জায়গা ফাঁকা থাকায় বেশির ভাগ মুসল্লিই অবস্থান করেন ইজতেমা মাঠের ভেতর। মাঠের বাইরে সড়কে মানুষের তেমন ভিড় ছিল না।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন অসংখ্য মুসল্লিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি