আজকাল সবার মধ্যেই ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের প্রভাবও পড়ছে । শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বেড়ে গেলে পায়ের তলায়, হাঁটুতে, কনুইয়ের ব্যথা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে কারও কারও পায়ের পাতা ফুলেও যায়। আর এর থেকেই শুরু হয় বাত বা আর্থারাইটিসের। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে এসব সমস্যা কমানো যায়। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি ও হৃদরোগজনিত নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে পালং শাক, টমেটো, মসুরের ডাল, মাছের তেল, কফি, কেক এসব খাবার থেকে দূর থাকতে হবে। তবে তিনটা ফল আছে যা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন-
চেরি : চেরির মধ্য়ে অতিমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে শরীরের ব্যথা, বেদনা দূর করে। শুধু তাই নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতেওে উপকারী এই ফল।
লেবু :শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্য়াসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলালেবু, পাতি লেবু, মোসাম্বি রাখুন।
আপেল: শুধু ভিটামিন সি নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর ভিটামিন এ-ও। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেল রাখুন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ রয়েছে। প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর ক অ য স ড ইউর ক অ য স ড ইউর ক অ য় স ড
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি