বিনয় মানবজীবনের অনন্য সৌন্দর্য। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। বিনয়ের মাধ্যমে সহজে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়। পবিত্র কোরআনে বিনয়ীদের আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও বিশ্বাসীরা, যারা নামাজ কায়েম করে জাকাত দেয় ও বিনত থাকে।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫৫)

রাসুল (সা.

) বলেছেন, ‘যিনি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হন, আল্লাহ তাঁকে মর্যাদাবান করেন। তখন তিনি নিজের চোখে তুচ্ছ হলেও মানুষের চোখে অনেক বড় বিবেচিত হন।’ (বায়হাকি, হাদিস: ৭,৭৯০)

যিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনয় প্রকাশ করেন, তাঁর কথাবার্তা, ওঠাবসা, হাঁটাচলায় মার্জিত ভাব আসে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘আর তাঁরাই করুণাময়ের (রহমানের বান্দা) যাঁরা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করেন এবং অজ্ঞ ব্যক্তিরা তাঁদের সম্বোধন করেন তখন তাঁরা বলেন শান্তি।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬৩)

তাঁরা অন্যের কটু কথা ও গালাগালের জবাব মন্দ কথায় না দিয়ে ভদ্র ভাষায় বিনয়ের সঙ্গে দিয়ে থাকেন।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানের মাথার পেছনে একজন বিশেষ ফেরেশতা থাকেন। তাঁর হাতে থাকে একটি হাকামাহ নামের বিশেষ বস্তু। যখনই বান্দা বিনয় অবলম্বন করে, তখন ওই ফেরেশতাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, হাকামাহ ওঠাও। অর্থাৎ তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আর যখনই বান্দা অহংকার করেন, তখন বলা হয় হাকামাহ ছেড়ে দাও। অর্থাৎ তাঁকে অপমানিত করো।’ (সিলসিলাহ সহিহা: ৫৩৫)

বিনয় ও নম্রতার আদেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মাটিতে দেমাক করে পা ফেলো না। তুমি মাটিও ফাটাতে পারবে না, পাহাড়ের সমান উঁচুও হতে পারবে না।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩৭)

নবী করিম (সা.)–এর আচরণ ছিল বিনয় ও নম্রতার অনন্য উদাহরণ। হাদিসে আছে, ‘তিনি ছিলেন সুবিশাল হৃদয়ের মহানুভব। সত্যবাদিতায় সর্বাগ্রে, নম্রতা আর কোমলতায় অনন্য, আচার-আচরণে অভিজাত। যিনি প্রথম তাঁকে দেখতেন, ভয় করতেন। কিন্তু যিনি তাঁর সঙ্গে মিশতেন, তাকে ভালোবাসতে শুরু করতেন।’ (জামে তিরমিজি)

আরও পড়ুনউয়ায়েস করনির কাহিনি৩১ মার্চ ২০২৪

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানের মাথার পেছনে একজন বিশেষ ফেরেশতা থাকেন। তাঁর হাতে থাকে একটি হাকামাহ নামের বিশেষ বস্তু। যখনই বান্দা বিনয় অবলম্বন করে, তখন ওই ফেরেশতাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, হাকামাহ ওঠাও। অর্থাৎ তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আর যখনই বান্দা অহংকার করেন, তখন বলা হয় হাকামাহ ছেড়ে দাও। অর্থাৎ তাঁকে অপমানিত করো।’ (সিলসিলাহ সহিহা: ৫৩৫)

বিনয় ও নম্রতার আদেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মাটিতে দেমাক করে পা ফেলো না। তুমি মাটিও ফাটাতে পারবে না, পাহাড়ের সমান উঁচুও হতে পারবে না।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩৭)

নবী করিম (সা.)–এর আচরণ ছিল বিনয় ও নম্রতার অনন্য উদাহরণ। হাদিসে আছে, ‘তিনি ছিলেন সুবিশাল হৃদয়ের মহানুভব। সত্যবাদিতায় সর্বাগ্রে, নম্রতা আর কোমলতায় অনন্য, আচার-আচরণে অভিজাত। যিনি প্রথম তাঁকে দেখতেন, ভয় করতেন। কিন্তু যিনি তাঁর সঙ্গে মিশতেন, তাকে ভালোবাসতে শুরু করতেন।’ (জামে তিরমিজি)

আরও পড়ুনমুঠোফোনে দেখা যাবে মদিনার মসজিদে নববির ভেতরে-বাইরে৩০ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আচরণ ফ র শত আল ল হ করত ন অনন য

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের