সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছ থেকে বুঝে নিলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ময়দান বুঝে নেন তারা।

এ সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষে এখন দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার জন্য মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিকট আজ হস্তান্তর করা হলো। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ময়দান হস্তান্তর করবেন তারা।

ইজতেমা ময়দান হস্তান্তরের সময় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জি.

শাহ মো. মুহিববুল্লাহ, ড. রেজাউল করিম, ড. আব্দুস সালাম, মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম, হাজী মনির হোসেন, আব্দুল হান্নান, বশির আহমেদ সিকদার, হারুন অর রশিদ, সিরাজ শিকদার, আসাদুল্লাহ, মো. মিল্লাত হোসেন, মো. আসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থি) ইজতেমা শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব তথা বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: দ ব ত য় পর ব ইজত ম র র ইজত ম ময়দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ