টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের। রোববার দুপুরে ময়দানে স্থাপিত গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সমন্বয় কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক কমিটির কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তারা ইজতেমা ময়দান বুঝে পেয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা শুরু হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।

এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে হামলায় জড়িত সাদপন্থিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তাবলিগের সাথীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে মুফতি আমানুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সাদ অনুসারীদের নিষিদ্ধ করার আন্দোলন চলছে। আগামী বছর থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপন্থিরা কোনো তবলিগি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না। এ শর্তে এবার তাদের ইজতেমা করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইজত ম ময়দ ন ব ঝ ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ