টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের। রোববার দুপুরে ময়দানে স্থাপিত গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সমন্বয় কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক কমিটির কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তারা ইজতেমা ময়দান বুঝে পেয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা শুরু হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।

এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে হামলায় জড়িত সাদপন্থিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তাবলিগের সাথীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে মুফতি আমানুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সাদ অনুসারীদের নিষিদ্ধ করার আন্দোলন চলছে। আগামী বছর থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপন্থিরা কোনো তবলিগি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না। এ শর্তে এবার তাদের ইজতেমা করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইজত ম ময়দ ন ব ঝ ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ