Samakal:
2025-05-01@05:39:57 GMT

হজমের সমস্যা

Published: 10th, February 2025 GMT

হজমের সমস্যা

খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে রোজ ওষুধের ওপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলোকে আমরা ভুল বলে মনে করিনি কখনও।
হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস?
খাবার চিবিয়ে না খাওয়া
খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। ভালো করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় টুকরোগুলো ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে খাবারের সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভালো।
চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস
অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফেইন জাতীয় কোনো পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যদি খেতেই হয়, অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গরমে একটু ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে। তাতেও হজমের সমস্যা বাড়ে।
ডায়েটে ফাইবার কম রাখা
ডায়েটে যোগ করুন পর্যাপ্ত ফাইবার। গ্যাস সরাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৮ শতাংশ ফাইবার। নানা রকম ফল, কার্বোহাইড্রেট ও শাকসবজি থেকে তা পাওয়া যায়। এ কারণে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন দরকারি ফাইবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন কমবে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান মিলবে। গ্যাসের সমস্যাও এর হাত ধরে নিয়ন্ত্রিত হবে অনেকটা।
ফল খাওয়া
খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস পেটের গোলমাল বাধাতে পারে। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে খাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই ভালো।
খেয়েই শুয়ে পড়া
খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। সারা দিন বেশি করে পানি খান। শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজম র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ