ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের
Published: 11th, February 2025 GMT
নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব বাসস্ট্যান্ডে এ অবরোধ করা হয়। এসময় ইনস্টিটিউটের কয়েক শত শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান ও স্লোগান দেন। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁত বোর্ডের অধীন থেকে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় কলেজ স্থানান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন তারা। কিন্তু উদ্যেশ্যমূলকভাবে নরসিংদী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে বলা হয়।
তারা বলেন, আমরা এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত মানি না। আমাদের দাবি নরসিংদী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে চালু রাখতে হবে। দাবি না মানা অবধি ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক অবরোধ তারা থাকবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে একই শিক্ষার্থীরা নানা দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধনসহ মহাসড়ক অবরোধ এবং তাঁত বোর্ড চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন তাঁত বোর্ড থেকে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়ার দাবিতে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ