বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের তিনটি কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠেনের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির একাংশ। এজন্য তারা কেন্দ্রীয় কমিটিকে মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে নগরের জিইসি থেকে টাইগার পাস সড়কের এক লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫, জেলা উত্তরে ১১২, জেলা দক্ষিণে ৩২৭ সহ মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

গ্রিন ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন, সনদ পেলেন ৪১২৯ গ্র্যাজুয়েট

প্রাইমারি শিক্ষার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি : বিধান রঞ্জন

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জুবায়ের মানিক অভিযোগ করেন, “এই তিনটি কমিটি প্রহসনের। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের মূল্যায়ন করা হয়নি, বরং চাঁদাবাজ, নারী হেনস্থাকারী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদও এই কমিটির বিষয়ে কিছুই জানেন না। অথচ খান তালাত রাফির ইন্ধনে আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই কমিটি গঠন করেছেন। আমরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।”

অপর সমন্বয়ক আব্দুল বাছির নাঈম তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো- বিকেল ৩টার মধ্যে বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে তিনদিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিটি গঠন করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।  কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ সদস য গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ