বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বজনদের নামে থাকা পাঁচটি সড়ক, পার্ক ও সেতুসহ মোট ১০টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে সংস্থার সাবেক দুই মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে থাকা দুটি স্থাপনারও নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার ডিএসসিসির চতুর্থ করপোরেশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়া। সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান ও সচিব বশিরুল হক ভূঁঞাসহ সংস্থার বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণির নাম পরিরর্তন করে ইনার রিং সড়ক, মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল সরণির নাম পরিবর্তন করে ঝাউচর প্রধান সড়ক, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সরণির নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল–বুড়িগঙ্গা সড়ক, শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কলাবাগানের নাম পরিবর্তন করে কলাবাগান শিশুপার্ক, শহীদ শেখ রাসেল শিশুপার্ক, যাত্রাবাড়ির নাম পরিবর্তন করে যাত্রাবাড়ি শিশুপার্ক, মেয়র তাপস সেতুর নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন করে শহীদ জিয়া শিশুপার্ক, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্কের নাম পরিবর্তন করে সরাফতগঞ্জ পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। 

পরিবর্তিত নামেই এসব স্থাপনা এক সময় পরিচিত ছিল। সাঈদ খোকন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র থাকাকালীন এগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, জুলাই–আগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে সীমিত সম্পদ দিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম জ ক অন ষ ঠ ন ক ন দ র ড এসস স

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ