মাঠ, একাডেমি—আফগানিস্তানে সবই আছে, বললেন হাশমতউল্লাহ
Published: 20th, February 2025 GMT
আফগানিস্তানে ক্রিকেট অবকাঠামোর কথা শুনলে আপনার মাথায় কী আসে? নিশ্চয়ই খুব ভালো কিছু নয়। আপনি একা নন, পুরো দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষের ভাবনাই তেমন। বিষয়টা যে আফগানিস্তানের মানুষের অজানা, তা–ও নয়।
শুধু সাধারণ মানুষ কেন, আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিও তা জানেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে এ নিয়ে তিনি কথাও বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমি অনেক কিছু দেখি যে আমাদের সুযোগ–সুবিধা, স্টেডিয়াম, একাডেমি নেই। এটা একদমই ভুল। আমাদের ভালো সুযোগ–সুবিধা আছে, ক্রিকেট একাডেমিও। কাবুল ও জালালাবাদে হাই পারফরম্যান্স সেন্টার আছে, আফগানিস্তানের প্রায় সব কটি অঞ্চলেই স্টেডিয়াম আছে।’
এত কিছু যখন আছে, তখন বিদেশি দলগুলো কেন আফগানিস্তানে যায় না? প্রশ্নটা আসা স্বাভাবিক। সবকিছু থাকলেও নিরাপত্তার কিছু ঘাটতি যে আছে, তা স্বীকার করেছেন হাশমতউল্লাহও। এ জন্যই দলগুলো আফগানিস্তান সফরে যায় না বলে মনে করেন তিনি। অবশ্য তাঁর আশা, শিগগিরই কোনো দল তাঁদের দেশে সফর করবেন।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।