মারকুটে ব্যাটার হেনরিক ক্লাসেনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে নেই তিনি। তার মতো একাদশে নেই আরেক ব্যাটার ত্রিস্তান স্টাবস। 

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে,  নরিক ক্লাসেন বাঁ কনুইয়ের ইনজুরিতে ভুগছেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলানো হচ্ছে না। 

স্টাবস অবশ্য ফিট আছেন। তবে টেম্বা বাভুমা ও ফন ডার ডুসেনকে জায়গা করে দিতে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে তাকে। 

ক্লাসেন সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে একটি ম্যাচ খেলেছেন। ওই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে ৫৬ বলে ৮৭ রানের টর্নেডো ইনিংস আসে। অবশ্য ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি তিনি খেলতে পারেননি। 

এর আগে ক্লাসেন পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন। ঘরের মাঠের ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্লাসেন ৯৭ বলে ৮৬ রান করেন, দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৪ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ম্যাচে খেলেন ৪৩ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আসরের বাকি ম্যাচে তাকে ফিট পেতেই ঝুঁকি নেয়নি প্রোটিয়ারা। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ