নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেন। প্রতি বছর এ অনুষ্ঠানে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান শুরুর আগে মাহমুদুর রহমান মান্না ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। 

শুক্রবার এক সমাবেশে বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জীবনে এত বড় অপমানিত এর আগে কখনও বোধ করিনি। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমাকে দাওয়াত কার্ড পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কার্ডে লেখা হয়নি ক’টায় আসন গ্রহণ করতে হবে। কার্ডে লেখা হয়নি ১৫ মিনিট আগে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। সব জায়গায় যেমন লেখা থাকে প্রধান অতিথি পৌঁছানোর আগে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ। প্রধান অতিথির আগেই সেখানে পৌঁছেছি। যারা পাহারায় ছিলেন তারা বলেছেন, মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না।

মান্না বলেন, ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের মতো মানুষ যখন সরকার গঠন করেছে, আমরা তাঁকে সমর্থন করেছি। ভেবেছি, এই মানুষ অন্তত শেখ হাসিনার মতো মানুষকে অপমান করে আনন্দবোধ করবেন না। আমরা একটা পরিশীলিত রাজনীতি দেখতে পাব বলে আশা করেছি।

 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ