নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেন। প্রতি বছর এ অনুষ্ঠানে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান শুরুর আগে মাহমুদুর রহমান মান্না ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। 

শুক্রবার এক সমাবেশে বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জীবনে এত বড় অপমানিত এর আগে কখনও বোধ করিনি। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমাকে দাওয়াত কার্ড পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কার্ডে লেখা হয়নি ক’টায় আসন গ্রহণ করতে হবে। কার্ডে লেখা হয়নি ১৫ মিনিট আগে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। সব জায়গায় যেমন লেখা থাকে প্রধান অতিথি পৌঁছানোর আগে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ। প্রধান অতিথির আগেই সেখানে পৌঁছেছি। যারা পাহারায় ছিলেন তারা বলেছেন, মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না।

মান্না বলেন, ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের মতো মানুষ যখন সরকার গঠন করেছে, আমরা তাঁকে সমর্থন করেছি। ভেবেছি, এই মানুষ অন্তত শেখ হাসিনার মতো মানুষকে অপমান করে আনন্দবোধ করবেন না। আমরা একটা পরিশীলিত রাজনীতি দেখতে পাব বলে আশা করেছি।

 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ