আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আজ দুপুর ৩টায় (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মাঠে মেনেছে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের আগে চাপে আছে দুই দলই। টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে এই দুই দলই।
আজ ম্যাচের আগে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান আফগানিস্তান দলের অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারার পরও জস বাটলার তাদের একাদশ খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে ছিল না। কেবল ব্রাইডন কার্সের চোটের কারণে জেমি ওভারটনকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে এসেছেন।
অন্যদিকে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি ম্যাচের আগে বলেছেন যে, তারা অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নামবেম।
আরো পড়ুন:
স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!
‘ভারতের বি টিমের সঙ্গেও পারবে না পাকিস্তান’
আফগানিস্তান: ইব্রাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সেদিকুল্লাহ আতল, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গোলবাদিন নাইব, রশিদ খান, নূর আহমদ, ফজলহাক ফারুকী।
ইংল্যান্ড: বেন ডাকেট, ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, জেমি ওভারটন, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ ও মার্ক উড।
সেমি ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে দুলেরই জয়ের বিকল্প নেই আজকের ম্যাচে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন