দলে দলে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যোগ দিচ্ছেন ছাত্র-জনতা
Published: 28th, February 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে আজ। গতকাল এর নাম ঠিক করা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নতুন এ দলের নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)। শুক্রবার বেলা তিনটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে দলটি।
দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান ঘিরে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত। এখন চলছে শেষ সময়ের মঞ্চ গোছানোর কাজ।
জানা যায়, দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেবেন। এ ছাড়া দেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ আসবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।
ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েতের লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশে আজ নতুন এক সূর্যোদয় হবে এমন কথা জানিয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা তরুণরা বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করার জন্য তরুণরা আজ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ করবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে মুশফিক উস সালেহীন জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার পর শুধু মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম দিকের প্রবেশপথ (আড়ংয়ের দিকে) দিয়ে মঞ্চের সামনের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ বৈঠক হয়। সেখানে অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল চারজন নেতা দলের নাম ও যেসব পদে নেতৃত্ব চূড়ান্ত হয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত করেন।
দলটির দক্ষিণের মুখ্য সংগঠক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরের মুখ্য সংগঠক হিসেবে সারজিস আলমকে চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়া মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এবং যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবে হান্নান মাসুদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
নতুন কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে। এজন্য দলের আহ্বায়ক কমিটির আকার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কমিটির একটা খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সম্মুখযোদ্ধাদের স্থান দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। এছাড়াও জুলাই আন্দোলনের আলোচিত নারী নেত্রীরা নতুন দলে জায়গা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ছ ত র জনত কম ট র ক কম ট ন র জন
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ