এবার কোন যোগ্যতায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, জানালেন শিক্ষা ও আইন উপদেষ্টা
Published: 2nd, March 2025 GMT
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, যাঁরা বাংলাদেশের জন্য জীবনব্যাপী অবদান রেখেছেন এবং নতুন কিছু তৈরি করেছেন, যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ কমিটির আহ্বায়ক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন, এ পুরস্কার দেখে আপনারা আরও খুশি হবেন।’
স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য কাদের সুপারিশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যাঁরা বাংলাদেশের জন্য জীবনব্যাপী অবদান রেখেছেন এবং নতুন কিছু তৈরি করেছেন যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। সেটি যেকোনো ক্ষেত্রে—সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান বা সমাজসেবার ক্ষেত্রে নতুন ধারা, যেটি এখনো সারা দেশকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আগে তাঁদের সেভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটি সুপারিশ। উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত নামগুলো প্রকাশ করা যাবে না।
আগে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘র্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানকেও স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। অথচ এটি আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার। আমরা এই পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দলগত ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন, এ পুরস্কার দেখে আপনারা আরও খুশি হবেন। মনে হবে, পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।’ এবার ১০ জনের কম মানুষকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট হয় ছ ল আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ