আবরারকে ফাহাদকে দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক
Published: 3rd, March 2025 GMT
প্রতিবাদ করে জীবন দেওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সোমবার (৩ মার্চ) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে আবরারকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫ দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বুয়েটে এবারও দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা
বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা পলকের
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!”
রবিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বাধীনতা পদক ২০২৫ এর তালিকার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাধীনতা পদকের জন্য এবার যাদের মনোনীতি করা হয়েছে, তাদের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পদকের জন্য তারা যাদের নাম সুপারিশ করেছেন, তারা এমন সব ব্যক্তি যারা বাংলাদেশের জন্য জীবনব্যাপী অবদান রেখেছেন এবং নতুন কিছু তৈরি করেছেন, যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।
অবশ্য ওয়াহিদউদ্দিন বলেছিলেন, স্বাধীনতা পদকের জন্য কারও নাম চূড়ান্ত হয়নি। তারা শুধু সুপারিশ করেছেন। সেই সুপারিশ উপদেষ্টা পরিষদে পাস হলেই সেটি চূড়ান্ত হবে।
জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল রবিবার বলেছিলেন, “আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন, এ পুরস্কার (স্বাধীনতা পদক) দেখে আপনারা আরও খুশি হবেন।”
কথার মাঝে আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন, ২০২৫ সালে স্বাধীনতার পুরষ্কার দেওয়া হবে ১০ জনের কম মানুষকে।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়। মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ, এখন যেকোনো দিন রায় ঘোষণা হতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবর র ফ হ দ র ব ব উপদ ষ ট র জন য আবর র
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়া চলছিল, ‘অবাক করে দিয়ে’ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়া চলছে। এই মহড়া দেখতে বেলারুশে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা। মার্কিনদের উপস্থিতিকে ‘অবাক করে দেওয়ার মতো’ বলে উল্লেখ করেছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কর্মকর্তারা নিজেদের ‘আগ্রহের যেকোনো বিষয়’ দেখতে পারেন বলে জানিয়েছেন বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর খ্রেনিন।
রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাপাদ–২০২৫’। গত শুক্রবার থেকে নিজেদের সীমানার মধ্যে মহড়াটি শুরু করেছে দুই দেশ। এমন সময় এ মহড়া শুরু করা হলো, যখন দুই দিন আগেই পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করা রাশিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর দেশগুলোতে উত্তেজনা বেড়েছে।
বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৩টি দেশের প্রতিনিধিরা মহড়া দেখতে বেলারুশে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ন্যাটোর দুই সদস্যদেশ—তুরস্ক ও হাঙ্গেরির প্রতিনিধিরাও। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাপাদ–২০২৫ মহড়ার আরেকটি সকাল এভাবে শুরু হবে, তা কে–ই বা ভেবেছিল?’
বিদেশি কর্মকর্তাদের মহড়ায় উপস্থিত থাকার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তাকে ভিক্টর খ্রেনিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায়। বেলারুশে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদও জানান তাঁরা। এ সময় মার্কিন কর্মকর্তাদের খ্রেনিন বলেন, ‘আপনাদের আগ্রহের সবকিছু দেখাব আমরা। আপনারা যা চান।’
মহড়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুই কর্মকর্তা