বাসসের এমডিকে অপসারণের দাবিতে ডিইউজের সমাবেশ
Published: 5th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব মোর্শেদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে বাসস কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি মো.
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাসসের এমডির বিগত ছয় মাসের কার্যকলাপ বর্তমান সরকারকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাঁরা বাসস পরিচালনায় মাহবুব মোর্শেদের ‘অযোগ্যতার ফলে সৃষ্ট অরাজকতায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে বাসসের এমডিকে অপসারণ করে সংকটের সুরাহা করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সিনিয়র সহসভাপতি রফিক মুহাম্মদ, বাসসের সাবেক ইউনিট চিফ আবুল কালাম মানিক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি গাযী আনোয়ারুল হক, সাবেক সহসভাপতি খন্দকার কাউসার হোসেন, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক আবু বকর মিয়া, নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত ও আবু হানিফ, ডিইউজের প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, জনকল্যাণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার, নির্বাহী সদস্য আমীর হামযা চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন দরবেশ, রাজু আহমেদ, এম মোশাররফ হোসাইন, তালুকদার রুমী ও ফখরুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল আমিন, জসিম মেহেদী ও আবদুল হালিম।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখাওয়াত মঈন চৌধুরী, জহিরুল হক, কামরুজ্জামান বাবলু, মশিউর রহমান, নোমান মোশাররফ, এস এম মিজান, সরদার মতিউর রহমান, ফয়েজ উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, রাসেল আহম্মেদ ও আনিসুর রহমান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
তিন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ঐকমত্য কমিশন আরও কিছু নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।
তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস্ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য।
গতকালের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এসব প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। যদি এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা কার্যকর করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কমিশনের আজকের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে।